Mamata Banerjee: মানবিকতাই প্রথম ও শেষ ধর্ম, শারদীয়া-বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
Durga Puja 2022: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কাছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে কলুটোলা, বউবাজার, চাঁদনি চক, ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে রেডরোড পৌঁছয় ধন্যবাদজ্ঞাপনের পদযাত্রা।
কলকাতা: ধর্ম যার নিজের নিজের, উৎসব সকলের, শারদ উৎসবে বার্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। দুর্গাপুজোকে (Durga Puja 2022) হেরিটেজ তকমা দেওয়ায় ইউনেস্কোকে (UNESCO Heritage) ধন্যবাদ জানিয়ে আজ পদযাত্রার আয়োজন হয় শহরে। তার পর রেড রোডে আয়োজন হয় বিশেষ সভার। সেখানেই এমন মন্তব্য করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন যেই ধর্মাবলম্বীই হই না কেন, আমাদের জাত একটাই, উৎসব। একতাই আমাদের একমাত্র জাত। আমরা বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি মানবধর্মে। তাই মানবিকতার সঙ্গে কোনও আপস নয়। ঐক্য এবং মানবিকতাই আমাদের শক্তি এবং সম্পদ। আমি বলি ধর্ম যার নিজের নিজের, উৎসব সকলের।’’
আজ থেকেই পুজো শুরু, বললেন মমতা
এ দিন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কাছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে কলুটোলা, বউবাজার, চাঁদনি চক, ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে রেডরোড পৌঁছয় ইউনেস্কোর প্রতি ধন্যবাদজ্ঞাপনের পদযাত্রা। তার পর ইউনেস্কোর প্রতিনিধি, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্ট জনেদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় রেড রোডে। ঢাকের বোলে, শঙ্খধ্বনিতে, ছৌ ও মুখোশ নাচে মেতে ওঠেন সকলে। ছিলেন শহরের তাবড় পুজো কমিটির প্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: Durga Puja Rally: ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ মমতার পদযাত্রা, গাড়ির রুটবদল শহরে
সেখানেই অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে মানবতার বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং খড়্গপুর আইআইটি-কে দিয়ে একটি সমীক্ষা করিয়েছিলাম আমরা। তাতে দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বহু মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত। আজ থেকে শুরু হয়ে গেল পুজো। যে যেমন করে পারেন, আনন্দ করুন। খুশিতে থাকুন। মনটাকে ভাল রাখুন, সবুজ রাকুন, মানবিক রাখুন, উন্মুক্ত রাখুন। মনটাকে আকাশ ভাবুন। হৃদয়কে বড় করুন। মনে রাখবেন, হৃদয় বন্ধ করা যায় না। খোলা রাখতে হয়।’’
বাংলার দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মমতা। তাঁদের কলকাতার দু্র্গাপুজোর প্যান্ডেলগুিল ঘুরে দেখতে আমন্ত্রণ জানান তিনি। যোগ দিতে আহ্বান জানান রাজ্য সরকারের দু্রগাপুজোর কার্নিভ্যালে। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি বাঙালিকে আরও উদ্বুদ্ধ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পড়শি দেশ বাংলাদেশের দুর্গাপুজোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অসম এবং ত্রিপুরার দুর্গাপুজোর কথাও তুলে ধরেন।
ইউনেস্কো-কে কলকাতার পুজোয় আমন্ত্রণ মমতার
এ দিনমমতা জানান, রাজধানী দিল্লি ছাড়া একমাত্র কলকাতাতেই ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার কুচকাওয়াজ হয়। আজকের এই অনুষ্ঠানও সমান গুরুত্বপূর্ণ আজকের এই অনুষ্ঠান ঐতিহাসিক, আগামী প্রজন্ম এই মুহূর্তকে মনে রাখবে। মমতা জানান, মানবধর্মই প্রথম এবং শেষ ধর্ম। মানুষই শ্রেষ্ঠ। তাই মানবিকতা এবং ঐক্যবদ্ধকে সম্পদ করে এগিয়ে যেতে হবে সকলকে।