Tamluk News: সরকারি বন্ধ্যাত্বকরণ শিবিরে অপারেশন করাতে গিয়ে মৃত ICDS কর্মী
ICDS Worker Death: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের কাঁকটিয়া এলাকায় সরকারি বন্ধ্যাত্বকরণ শিবিরে অপারেশন করাতে গিয়ে মৃত্যু হল একজন ICDS কর্মীর। গাফিলাতির কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
বিটন চক্রবর্তী, তমলুক: সরকারি বন্ধ্যাত্বকরণ শিবিরে অপারেশন করাতে গিয়ে মৃত্যু হল একজন ICDS কর্মীর। শুক্রবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের কাঁকটিয়া এলাকায় (Tamluk News)। এই ঘটনায় ওই শিবিরের স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছে মৃতের পরিবার। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে শুরু হয়েছে বন্ধ্যাত্বকরণ শিবির। শুক্রবার তমলুকের কাঁকটিয়া এলাকায় জানুবসান প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অপারেশন করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক আইসিডিএস কর্মীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় সরকারি উদ্যোগে স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়িতে দুই অথবা তার অধিক সন্তান থাকলে তাঁদের বিনামূল্যে লাইগেশন করানো হবে এমনটাই জানিয়ে ছিলেন।
এরপরই সমস্ত তথ্য সংগ্রহের পর জেলাজুড়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য লাইগেশন করা শুরু হয়। সেই মতো শুক্রবার তমলুক থানার সায়রা গ্রামের বাসিন্দা রেবতী সামন্ত (বয়স ৩৭) পেশায় একজন আইসিডিএস কর্মী, কাঁকটিয়ার জানুবসান প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অপারেশন করানোর জন্য ভর্তি হন।
তাঁর পরিবারের দাবি, অজ্ঞান করার জন্য ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আনার সময় রেবতী দেবীর মৃত্যু হয় বলেই অভিযোগ করেন মৃতার স্বামী বিমলেন্দু সামন্ত। তিনি আরও অভিযোগ করেন, পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও একসঙ্গে এত জনের অপারেশন হয় কী করে? এই বিষয়ে তিনি তমলুক থানায় অভিযোগ জানাবেন এবং তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহের ময়না তদন্তের দাবি করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভিড় করেন পরিবারের লোকেরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপস্থিত হয় তমলুক থানার পুলিশ।
এদিকে ওই মহিলাকে অজ্ঞান করার জন্য কোনও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তাঁর দাবি, ওই মহিলার আগে কোনও অসুখ ছিল এমন তথ্যও তাঁদের কাছে নেই। ফলে কী করে মৃত্যু হল, তা ময়নাতদন্ত করলে জানা যাবে। গোটা বিষয়টির জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Arambagh Water Logging: রাতভর বৃষ্টি, জমা জলে দুর্ভোগ আরামবাগের বাসিন্দাদের