LPG Cylinders: বিস্ফোরণের ভয় নেই, ওজনে হালকা, আবার সাশ্রয়ীও, বাঙালি হেঁশেলে এ বার কম্পোজিট গ্যাস
Composite Gas Cylinder: বিস্ফোরণের ভয় নেই। চিন্তা নেই গ্যাস কম পাওয়ার। হালকা হওয়ায় খুব সহজেই সরানো সম্ভব।
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বাজারে কম্পোজিট সিলিন্ডার আনল ইন্ডেন (Composite Gas Cylinder)। সংস্থার (Indane) তরফে দাবি করা হচ্ছে, এই সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হবে না (Blast Proof)। তাছাড়া লোহার সিলিন্ডারের তুলনায় অনেক হালকা। ভিতরে তরল গ্যাস (Liquid Gas) কতটা আছে, তাও দেখা যাবে বাইরে থেকে।
লোহার সিলিন্ডারের তুলনায় অনেক হালকা ওজন, বিস্ফোরণের ভয় নেই
বিস্ফোরণের ভয় নেই। চিন্তা নেই গ্যাস কম পাওয়ার। হালকা হওয়ায় খুব সহজেই সরানো সম্ভব। এমনই অভিনব রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বাজারে এনেছে, ইন্ডেন। সংস্থার তরফে যাকে কম্পোজিট সিলিন্ডার বলা হচ্ছে।
বাজারে চলতি গ্যাস সিলিন্ডারে পরিমাণের (Coocking Gas) হেরফেরের অভিযোগ সামনে এসেছে। তা নিয়ে নানা পদক্ষেপও করতে দেখা গিয়েছে সরকারকে। তবে এই নয়া গ্যাস সিলিন্ডারে তেমন অভিযোগ ওঠার কোনও সুযোগই নেই বলে দাবি ইন্ডেনের। বরং কত পরিমাণ গ্যাস রয়েছে সিলিন্ডারে, তা গ্রাহক দেখতে পাবেন বলে দাবি তাদের।
ইতিমধ্যেই নতুন ধরনের সিলিন্ডার ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছেন অনেক গ্রাহক। বেলেঘাটার বাসিন্দা চিন্ময়ী নন্দী বলেন, "দেখাও যায়, এতটা হালকা আমিও সরাতে পারি।"
বর্তমানে গৃহস্থের ব্যবহারের জন্য LPG সিলিন্ডারে ১৪ কেজি ২০০ গ্রাম গ্যাস থাকে। সেখানে কম্পোজিট সিলিন্ডারে থাকে ১০ কেজি গ্যাস। গ্যাস-সহ এখনকার লোহার সিলিন্ডারের ওজন হয় ৩০ কিলোগ্রামের কাছাকাছি। ফলে ওজনে ফারাক অনেকটাই।
সেখানে অত্যাধুনিক সিলিন্ডারে গ্যাস-সহ ওজন হবে ১৬ কিলোগ্রামেরও কম (১৫ কেজি ৯০০ গ্রাম)। কম্পোজিট সিলিন্ডারে সুবিধাও মিলবে অনেক, এবং তার জন্য দামও বেশি দিতে হবে না গ্রাহককে। ফলে সাধারণ গৃহস্থের মধ্যে এই সিলিন্ডার কেনার আগ্রহ বাড়বে বলেই মনে করছে সংস্থা।
ইতিমধ্যেই নতুন ধরনের সিলিন্ডার ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছেন অনেক গ্রাহক
কলকাতায় এখন ১৪ কিলোগ্রামের সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৭৯ টাকা, সেখানে অত্যাধুনিক ১০ কেজি-র সিলিন্ডারের দাম দিতে হবে ৭৬৯ টাকা। তবে নতুন কানেকশন নিতে গেলে, লোহার সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে ২২০০ টাকা জমা রাখতে হয়, সেখানে কম্পোজিট সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে দিতে হবে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা। তবে সাশ্রয় এবং নিরাপত্তার কাথা মাথায় রাখলে, কম্পোজিট সিলিন্ডারের প্রতিই মানুষ আগ্রহ দেখাবেন বলে মনে করছে সংস্থা।