Coochbehar News: সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা BGB-র, কোচবিহারের শীতলকুচিতে উত্তেজনা
India Bangaldesh Border Tension: সীমান্তের একদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জওয়ানরা, এদিকে মুখোমুখি BSF জওয়ানরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারের শীতলকুচি সীমান্তে উত্তেজনা। অভিযোগ, পশ্চিম সাঙ্গারবাড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কয়েকজনকে ভারতের সীমান্ত দিয়ে ঢোকানোর চেষ্টা করে। BSF-এর দাবি BGB-কে বাধা দেওয়া হয়। সীমান্তে কাঁটাতারের এপারে কাজ করার সময় এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কোচবিহারে বাংলাদেশ সীমান্তে ফের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীদের দাবি, বুধবার সকালে কাঁটাতারের ওপারে কাজ করতে গেছিলেন ভারতের কয়েকজন কৃষক। তখনই শীতলকুচি সীমান্ত দিয়ে বেশ কয়েকজনকে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাই খবর দেন বিএসএফ-কে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেয় বিএসএফ। ওপার থেকে লোক ঢোকানোর চেষ্টা রুখে দেয় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। স্থানীয় বাসিন্দা যোগেশ বসাক বলেন, "কাজ করছি, ধানের বীজ ফেলছি, তখন দেখি বিডিআর বাংলাদেশের লোক আনছে। ১৬ জন ছিল।'' আরেক বাসিন্দা উত্তম বসাক বলেন, "বাংলাদেশের লোক নিয়ে এসছে। কাজ করছিলাম তখন দেখলাম বিডিআর সুদ্ধু লোক আসছে। মোটামুটি ১০-১৫ জন। বিডিআর পিছনে ছিল।''
এদিকে বাংলাদেশে ২৯ দিন বন্দি থাকার পর, সপ্তাহ দুয়েক আগে শীতলকুচির কৃষক উকিল বর্মনকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া শীতলকুচিতে নিজের জমিতে চাষ করার সময়, তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশে। তাঁকে নিয়েই এবার শীতলকুচির সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে জনসংযোগে নামল তৃণমূল। সব মিলিয়ে, সীমান্তে সমস্যা নিয়ে বারবার শিরোনামে উঠে আসছে শীতলকুচি।
এদিকে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নিয়েও নজরদারি বাড়ছে। এর মধ্যেই বাগডোগরার সেনা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির অভিযোগে গ্রেফতার করল সেনাবাহিনী। ধৃতের নাম আজিজুল ইসলাম, বরিশালের দামিলিপুর এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, নদীপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সে। তার কাছ থেকে বাংলাদেশের ১০ টাকার নোট ও একটি স্থানীয় সংবাদপত্রও উদ্ধার হয়েছে। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে বাগডোগরা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। চলতি মাসের ৯ তারিখেও এমএম তরাই সেনা ক্যাম্প এলাকা থেকে আশরাফুল আলম নামে আরেক বাংলাদেশিকে ধরা হয়েছিল। পরপর দু’টি ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।






















