(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
North Dinajpur: টিকা নিয়ে তবেই বাড়ি ফিরবেন! ইসলামপুরে অদম্য জেদে লাইনে টানা তিনদিন
হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, প্রতিটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিড টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরও কিছু মানুষ ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এসে ভিড় করছেন।
সুদীপ চক্রবর্তী, ইসলামপুর: এ যেন "ধনুক ভাঙা পণ " ! যত দিনই লাগুক, কোভিড টিকা না নিয়ে কিছুতেই বাড়ি ফিরবেন না। আর এই কোভিড টিকা নেওয়ার জন্যই তিনদিন ধরে ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বেশ কিছু সংখ্যক মহিলা সহ সাধারন মানুষ। প্রায় তিনদিন ধরে হাসপাতালেই চলছে খাওয়া-দাওয়া। তবে রাত জেগে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও আজও তাঁরা পেলেন না কোভিড ভ্যাকসিন। এমনই ঘটনা ঘটেছে ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
ফলে করোনা টিকা নিতে আসা সাধারন মানুষের মধ্যে জমছে তীব্র ক্ষোভ। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, প্রতিটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিড টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরও কিছু মানুষ ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এসে ভিড় করছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ রাত জেগে কাটালে আমাদের কিছু করার নেই।
কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা নিতে কেউ একদিন আগে কেউ বা আবার দু’তিন দিন আগে থেকেই হাসপাতালে এসে রাত জেগে থেকে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।
রীতিমতো হাসপাতালের বারান্দায় মশারি টাঙিয়ে দুদিন-তিনদিন ধরে রাত কাটালেও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না তাঁরা৷ বাড়ির বাইরে। তাই খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো হচ্ছে না। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। কিনে খেতে হচ্ছে পানীয় জল। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য টিকা নিতে এমনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ইসলামপুর ব্লকের বাসিন্দাদের। টিকা নিতে আসা এক মহিলা জানালেন, বাড়িতে ছেলে-মেয়ে রেখে এসে দুদিন ধরে ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এসে পড়ে রয়েছি টিকা নেওয়ার জন্য। কিন্তু রাত জেগে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা পাচ্ছি না। তবে যতদিনই লাগুক টিকা নিয়েই বাড়িতে ফিরবেন বলে জানালেন তিনি। এতে যদি আরও দিন কয়েক হাসপাতালে পড়ে থাকতে হয়, তাও ঠিক আছে। কিন্তু টিকা নিয়ে তবেই বাড়ি ফিরবেন। এমনই দাবি করলেন তিনি। এমনই বক্তব্য শোনা গেল কোভিড টিকা নিতে আসা রাতের পর রাত জাগা অন্যান্যদের কাছেও।
যদিও ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সুবোধ সিনহা জানিয়েছেন, ইসলামপুর মহকুমার বহু জায়গাতেই কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সেন্টার করা হয়েছে। অথচ মানুষ এই হাসপাতালেই ভিড় করছেন। এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই। প্রতিদিন যে পরিমান ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা তাই দেওয়া হচ্ছে।