WTC Final: ভারতকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের কামিন্সরা, লর্ডসে সামনে প্রোটিয়া বাহিনী
Australia Cricket Team: দক্ষিণ আফ্রিকা আগেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ ম্য়াচ খেলে ৭ ম্য়াচ জিতেছিল প্রোটিয়া শিবির।
সিডনি: এই ম্য়াচটা হারলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজে একটি ম্য়াচ জিততেই হত। ততদিন অপেক্ষাই করতে চায়নি অজি শিবির। বর্ডার গাওস্কর ট্রফির শেষ ম্য়াচেও সিডনিতে ভারতকে হারিয়ে দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে গেল প্যাট কামিন্স ব্রিগেড। অন্যদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবার ফাইনালে খেলতে নামবে না টিম ইন্ডিয়া। সিডনিতে হারের সঙ্গে সঙ্গেই লর্ডসে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেল তাদের। এমনকী বর্ডার গাওস্কর ট্রফিও রিটেইন করতে পারল না রোহিত ব্রিগেড।
দক্ষিণ আফ্রিকা আগেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ ম্য়াচ খেলে ৭ ম্য়াচ জিতেছিল প্রোটিয়া শিবির। জয়ের শতকরা হার ছিল ৬৬.৬৭। অন্য়দিকে সিডনি টেস্ট জয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার জয়ের শতকরা হার ৬৩.৭৪। কামিন্সরা ১৭ ম্য়াচ খেলে ১১টি ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। ৪টি ম্য়াচ হেরেছে তারা। ২টো ম্য়াচ ড্র করেছে। অন্যদিকে সিডনি টেস্টের পর ভারতের ঝুলিতে ১৯ ম্য়াচের মধ্য়ে ৯টি জয় ১০টি হার ও ২টো ড্র। জয়ের শতকরা হার ৫০.০০।
সদ্য শেষ হওয়ার বর্ডার গাওস্কর ট্রফির শুরুতে পারথে কিন্তু ভারতই জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল। ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল সেই ম্য়াচে বুমরার নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু এরপর থেকে অ্য়াডিলেডে গোলাপি বলের টেস্ট ও মেলবোর্ন, সিডনিতে জয় ছিনিয়ে নেয় অজিরা। একমাত্র ব্রিসবেন টেস্ট ড্র হয়েছে।
মেলবোর্ন হারের পরই চাপ বেড়েছিল ভারতীয় শিবিরে। এই ম্য়াচ জিতে বর্ডার গাওস্কর ট্রফি রিটেইন করাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার সামনে। যার জন্য একাদশেও কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। অফফর্মে থাকা রোহিত শর্মা নিজেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন একাদশ থেকে। জসপ্রীত বুমরার নেতৃত্বে খেলতে নেমেছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৮৫ রান বোর্ডে তুলেছিল ভারত। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ১৮১ রান বোর্ডে তুলে নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে ৩৩ বলে ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ঋষভ পন্থ। তিনি নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। এছাড়া আর কোিনও ব্যাটারই রান পাননি। শেষ পর্য়ন্ত ১৫৭ রানেই অল আউট হয়ে যায় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৬২। যা ৪ উইকেট খুইয়ে অনায়াসেই তুলে নেয় কামিন্স বাহিনী। ম্য়াচের সেরা হন বোল্যান্ড, সিরিজ সেরা হন বুমরা।