Jadavpur University Chaos: যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে সিপিএম, বারুইপুরে 'বন্দি' সুজন !
Sujan Gheraoed By TMCP On JU Chaos: সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে আটকে সুজন , বারুইপুরে পার্টি অফিসের গেটে তালা ঝোলাল TMCP

কলকাতা: গতকালই যাদবপুরকাণ্ডে ব্রাত্যকে নিশানা করে সুজন বলেছিলেন,'কাঁচা নাটক, ধরা পড়ে গেল...মুখ্যমন্ত্রী রেসপন্স করুন'! এদিকে আজ যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে, উচ্চ মাধ্যমিক শুরুর দিনেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। সেই মতোই এদিন যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে নামে সিপিএম। এদিকে বারুইপুরে 'বন্দি' সুজন !
বারুইপুর সিপিএমের পার্টি অফিসে চড়াও টিএমসিপি!গেটে তালা দিয়ে সিপিএমের পার্টি অফিসে ঢুকে স্লোগান। যাদবপুরকাণ্ডে রাস্তায় সিপিএম, বারুইপুরে পার্টি অফিসের গেটে তালা ঝোলাল TMCP। সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে আটকে সুজন চক্রবর্তীরা। ভিতরে স্লোগান সিপিএম কর্মী-নেতাদের। TMCP-র সমর্থকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের।
শিক্ষাঙ্গনে হেনস্থার শিকার হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী! ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়েছে। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, শিক্ষামন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে! হাসপাতালে ব্রাত্য বসুকে দেখতে ছুটেছেন কুণাল ঘোষ, মদন মিত্রের মতো নেতারা। শিক্ষামন্ত্রীকে হেনস্থার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন অরূপ বিশ্বাসের মতো তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী!
কিন্তু এতকিছুর পরও, রবিবার বিকেল পর্যন্ত তৃণমূলের অফিসিয়াল ফেসবুকই হোক বা এক্স হ্যান্ডেল, কোথাও ঘটনার উল্লেখ ছিল না! ছিল না কোনওরকম প্রতিবাদ। কিন্তু কেন? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে এইভাবে এক পড়ুয়াকে ধাক্কা মারাকে সমর্থন করছে না তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব?
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন,কাঁচা নাটক, ধরা পড়ে গেল। উনি এত অসুস্থ হয়ে গেলেন যে, হাসপাতালে গিয়ে উনি নাকি বিপি মাপা হচ্ছে, উনি ফোন করছেন, বিপি মাপা হচ্ছে। এই যে নাটক সবাই বুঝে গেছে। মানুষ বুঝে গেছে। সবচেয়ে ভাল জানে ব্রাত্য বসু। তৃণমূল জানে। তৃণমূলের অফিসিয়াল পেজে একটা শব্দ নেই। তৃণমূলের অফিসিয়াল পেজ, ট্যুইটার (এক্স) একটা শব্দও উল্লেখ করতে পারলেন না।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, আমরা হলে নাটক, বিরোধীরা করলে স্বাভাবিক... আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...আমাদের অধ্যাপকরা আক্রান্ত হলে স্বাভাবিক। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ বা হেনস্থার ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের অফিসিয়াল পেজ থেকে কিছু পোস্ট করা হয়নি ঠিকই, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন নেতা একাধিক পোস্ট করেছেন। যেমন তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী তাঁদের মিছিলের ছবি পোস্ট করেছেন।
এক্স পোস্ট করে ঘটনার সমালোচনা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তৃণমূলের অন্য়তম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ব্রাত্য বসুর পাশে দাঁড়িয়ে এক্স পোস্ট করেছেন। বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী এবং তৃণমূল সমর্থক অধ্যাপকরা সংযমের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু নেতারা ব্যক্তিগতভাবে পাশে দাঁড়ালেও, রবিবার বিকেল পর্যন্ত দলগতভাবে প্রতিবাদ করে কোনও পোস্ট নকরা হয়নি কেন?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
