RG Kar Case: চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এবার পুলিশকর্মীদের CBI তলব, ঘটনার দিন RG Kar আউটপোস্টে কর্মরত ছিলেন এই ১১ জন !
RG Kar Case CBI Summons 11 Police: আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় পুলিশকর্মীদের তলব

কলকাতা: আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় পুলিশকর্মীদের তলব । ১১জন পুলিশকর্মীকে তলব সিবিআইয়ের। ঘটনার দিন আর জি করে আউটপোস্টে কর্মরত পুলিশকর্মীদের তলব। কাল ও মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ।
গত বছর ২০২৪ এর ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যালে খুন হন চিকিৎসক। ঘটনার দিন আর জি করে আউটপোস্টে কর্মরত ছিলেন যে পুলিশকর্মীরা, তাঁদের মধ্য়ে ১১জন পুলিশকর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই। আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তদন্ত এখনও চলছে। যদিও সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শুনিয়েছে আদালত। কিন্তু সেই ঘটনায় এখনও সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। সেই তদন্তের অঙ্গ হিসেবে এবার ১১জন পুলিশকর্মীকে ডেকে পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আর জি কর-কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণে দেরি করা হয়েছে। খুনের জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআইয়ের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছিলেন, তদন্তে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অপরাধের জায়গা আগের মতো নেই। সেই প্রেক্ষিতেই সর্বোচ্চ আদালতের মন্তব্য, ঘটনার তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণে দেরি করা হয়েছে। খুনের জায়গায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। জিডির ভিত্তিতে কী করে ময়নাতদন্ত? ময়নাতদন্তের পর কী করে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগে এফআইআর! এটা অত্যন্ত বিরক্তিকর। আর জি কর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর দেওয়া টাইমলাইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
আর জি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায়, ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রায়কে দোষীসাব্য়স্ত করে আমৃত্য়ু কারাবাসের নির্দেশ দেয় শিয়ালদা আদালত। তারপরই ফাঁসি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। ফাঁসি চেয়েছে সিবিআই-ও। কিন্তু নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার দাবি, ফাঁসি নয়, খুঁজে বার করা হোক বাকি দোষীদের।ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা।
প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবার মাসে তখন আরজিকর কাণ্ডে সরব সারা বাংলা তথা দেশ। ঠিক তেমনই এক মুহূর্তে পার্ক স্ট্রিট থানার রেস্ট রুমে একজন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছিল। কাঠগড়ায় উঠেছিলেন ওই থানাতেই কর্মরত একজন সাব ইন্সপেক্টর ! এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার, জয়েন্ট সিপি ক্রাইম, ডিসি সাউথ ও পার্ক স্ট্রিট থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতা সিভিক ভলান্টিয়ার। তারপরই অভিযুক্ত এসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।
আরও পড়ুন, '৭০ কোটির মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে মহাকুম্ভে..', মমতার উল্টো সুর সুজাতার মুখে !
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
