Hindol Majumdar: যাদবপুরের প্রাক্তনী হিন্দোল মজুমদারের জামিন, আদালতে আবারও ধাক্কা খেল রাজ্য
JU Former Student Hindol Majumdar: বুধবার দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন হিন্দোল মজুমদার। স্পেন থেকে দিল্লিতে নামতেই যাদবপুরের প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হয়।

হিন্দোল দে, পার্থপ্রতিম ঘোষ, আবির দত্ত, কলকাতা : ধোপে টিকল না সরকারের আপত্তি, অবশেষে যাদবপুরের প্রাক্তনী হিন্দোল মজুমদারের জামিন। ৩দিন পুলিশ হেফাজতের পর গবেষক ছাত্রের জামিন। বুধবার দিল্লিতে গ্রেফতার হন হিন্দোল। তার ৫দিন পরে গবেষক ছাত্রের জামিন হল অবশেষে। জামিনের বিরোধিতা করে জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল সরকারের আইনজীবীর তরফে। এমনকী জামিনের বিরোধিতা করে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও কোর্টে পেশ করা হয় সরকারের তরফে। এরপর প্রশ্ন তোলেন বিচারক। তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা নয় কেন? প্রশ্ন বিচারকের। জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে বলে পাল্টা সওয়াল সরকারি আইনজীবীর। অন্যদিকে, তদন্তে আর কোনও অগ্রগতি নেই বলে সওয়াল করেন হিন্দোলের আইনজীবীও।
গত ১ মার্চ, যাদবপুরের ক্যাম্পাসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সুদূর স্পেন থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগ ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া হিন্দোল মজুমদারের বিরুদ্ধে। দায়ের হয় FIR। জারি হয় লুকআউট নোটিসও। স্পেন থেকে দিল্লি নামতেই যাদবপুরের প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। পেশ করা হয় আদালতে। তাঁর ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর আজ পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে হিন্দোলকে ফের আদালতে পেশ করা হয়। তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। পাল্টা জামিনের চরম বিরোধিতা করা হয় সরকারি আইনজীবীর তরফেও। শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি সরকার পক্ষের আইনজীবীর কোনও আপত্তিই। জামিন পেয়েছেন গবেষক হিন্দোল মজুমদার।
বুধবার গ্রেফতারের পর যাদবপুরের প্রাক্তনী, স্পেনে গবেষণারত হিন্দোল মজুমদারকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার আফতাব আনসারির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন সরকারি আইনজীবী। ২০০২ সালে কলকাতায় আমেরিকান সেন্টারে হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই আফতাব আনসারি। তবে আজ আদালতে ধোপে টেকেনি সরকারি আইনজীবীর কোনও বিরোধিতাই। এদিন হিন্দোলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে খবর পাওয়ার পর, আলিপুর আদালত চত্বরে লকআপে সামনে আসেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। হিন্দোলকে বের হতে দেখেই গানে-স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। স্লোগান ওঠে 'জেল কে তালে কচ্চে হ্যায়, হামারে কমরেড সচ্চে হ্যায়'। জামিনের পর হাসিমুখে আদালত কোর্ট চত্বর থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে হিন্দোল মজুমদারকে। পুলিশের সক্রিয়তা তিনি বলেন, 'পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে। পুলিশকে নিয়ে কোনও আমার আপত্তি নেই।' জামিনের পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গাড়ি করে বেরিয়ে যান তিনি।






















