Jadavpur University: 'কোন শিক্ষকের কলার ধরতে হবে, ধরে নেব' অধ্যাপককে হুমকি যাদবপুরের টিএমসিপি নেতার
Jadavpur University: টিএমসিপি নেতার ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে তোলপাড়। অডিও ক্লিপের সত্যতা স্বীকার করেছেন টিএমসিপি নেতা। কী সাফাই দিলেন তিনি?
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) উপাচার্যকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তারই মাঝে এবার শিরোনামে উঠে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পর যাদবপুরে টিএমসিপির নেতার হুমকি
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার যাদবপুরে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতার হুমকি। ভাইরাল হয়েছে সেই অডিও ক্লিপ (viral audio clip)। যদিও অডিওর সত্যতা যাচাই করেন এবিপি আনন্দ।
কী শোনা যাচ্ছে সেই অডিও ক্লিপে? অধ্যাপকদের কলার ধরার হুমকি দিতে শোনা গেল টিএমসিপি নেতাকে। শোনা যাচ্ছে, 'কোন শিক্ষকের কলার ধরতে হবে? ধরে নেব। এতবড় ক্ষমতা রাখে সঞ্জীব প্রামাণিক।'
টিএমসিপি নেতার ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে তোলপাড়। অডিও ক্লিপের সত্যতা স্বীকার করেছেন টিএমসিপি নেতা। কী সাফাই দিলেন তিনি? ছাত্র নেতা সঞ্জীব প্রামাণিক বলেন, 'রূপক অর্থে বলেছি।'
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: North 24 Parganas News: খড়দায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, ধারাল অস্ত্রের কোপ দুষ্কৃতীর
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে ঘিরে হেনস্থা
চলতি মাসের শুরুর দিকেই ঘটনা। সূত্রের খবর, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে হেনস্থার ঘটনা ঘটে। তাত্পর্যপূর্ণভাবে উপাচার্যর অভিযোগ, ঘটনার সময় তিনি পুলিশকে খবর দিলেও, কেউ আসেনি। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলি বলেন, 'আমি অসহায় বোধ করছিলাম। ছেলেগুলো এরকম আমাকে করছে। কেন করছে জানি না। গালাগাল করছি। বাধ্য হয়ে টেকনোসিটি থানার আইসিকে ফোন করি। তিনি বললেন দেখছি দেখছি। কিন্তু তারপর আর পুলিশ আসেনি।’
এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পরিকল্পনা করেই উপাচার্যকে হেনস্থা করা হয়েছিল? আগে থেকেই পুলিশকে কোনও পদক্ষেপ না করার জন্য বলা ছিল? উপাচার্যকে হেনস্থায় ইন্ধন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকেও? জল্পনা উস্কে দিয়েছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরই তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা-র এক নেতার মন্তব্য। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার সভাপতি মুখলেসুর রহমান বলেন, “এটা পূর্ব পরিকল্পিত। এটা প্ল্যান্ড, এর বেশি নয়। বাইরের লোকের ইন্ধন ছিল।‘’