Jadavpur University: যাদবপুরে পড়ুয়ামৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তলব রাজ্যপালের, রাজভবনে জরুরি বৈঠক
JU Student Death: বুধবার বিকেল ৫টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে তলব করেছেন তিনি।
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। সেই আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার বিকেল ৫টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে তলব করেছেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে রাজভবনে জরুরি বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে রাজভবন সূত্রে। (Jadavpur University)
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যপাল
মঙ্গলবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন রাজ্যপাল। জানান, অন্ধকার যেমন রয়েছে, তেমন আলোও রয়েছে। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পরই রাত হতে হতে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যপাল। (JU Student Death)
রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে বিধানসভায় বিল পাস হলেও, এখনও তাতে সই করেননি রাজ্যপাল। ফলে তিনিই এই মুহূর্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। সেই পদাধিকারেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রাজভবনে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কোর্ট মিটিং হবে রাজভবনেই।
আরও পড়ুন: SSKM Hospital: কপাল ও চোখের মাঝে বিঁধে কাঁচি, SSKM-এ আবারও বিরল অস্ত্রোপচার, নতুন জীবন পেল শিশু
মঙ্গলবারই অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়িত করতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তলব কিনা, জোর জল্পনা চলছে। তবে এভাবে বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষকে রাজভবনে হাজির হওয়ার নির্দেশ বেনজির বলেই মনে করছে শিক্ষামহল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং মোকাবিলায় আজই নতুন করে সার্কুলার জারি করেছে রাজ্য সরকার। মূলত তুলে ধরা হয়েছে, এক যুগ আগের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রাঘবন কমিটির সুপারিশ ও UGC-র গাইডলাইনের কথা, যাতে সুপারিশ ছিল, অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইন ও অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড চালু, হস্টেলে সর্বক্ষণের জন্য ওয়ার্ডেন নিয়োগ, রাজ্য এবং জেলাস্তরে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি তৈরির উল্লেখ রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি নির্দেশিকা মেনে চলছে কিনা, সেটা এতদিন দেখা হয়নি কেন?
যদিও এতদিন পর নির্দেশিকা জারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এসব নির্দেশিকা মেনে চলছে কিনা, সেটা এতদিন দেখা হয়নি কেন? যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দেশিকা মানেনি, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হয়নি কেন? এখন সার্কুলার দিয়ে দেড় দশক আগের নির্দেশিকা মনে করানো হচ্ছে কেন? এটা কি যাদবপুরকাণ্ডের পর ড্য়ামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা?
অনেকে আবার বলছেন, ঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে, আজ হয়তো যাদবপুরে এক পড়ুয়ার মৃত্য়ু হত না! কিন্তু, তা না করে, পড়ুয়ার মৃত্য়ুর পাঁচদিন পর পুরনো নির্দেশিকার কথা মনে করিয়ে কি মুখ রক্ষার চেষ্টা হচ্ছে? এই প্রেক্ষাপটে চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, নির্দেশিকা চালুর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্য সরকারের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক কারণে তা সম্ভব হয়নি।