Jalpaiguri : শিশু বিভাগে খাবারে মরা কেঁচো ! অভিযোগ ঘিরে বিক্ষোভ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে
Jalpaiguri Sadar Hospital : এদিকে এই ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
![Jalpaiguri : শিশু বিভাগে খাবারে মরা কেঁচো ! অভিযোগ ঘিরে বিক্ষোভ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে Jalpaiguri : Agitation at Jalpaiguri Sadar Hospital after earthworm found in food of child ward Jalpaiguri : শিশু বিভাগে খাবারে মরা কেঁচো ! অভিযোগ ঘিরে বিক্ষোভ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/06/05/08af774c51d06e9f6db7268d0534f4c6_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : হাসপাতালের শিশু বিভাগে খাবারে মরা কেঁচো ! জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর হাসপাতালে এহেন অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। খাবার খেয়ে অসুস্থ অনেকে, এমনই অভিযোগ জানিয়েছে শিশুর পরিবার। ‘অস্বাস্থ্যকর’ খাবার নিয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ (Agitation) শিশুর পরিবারের। এদিকে এই ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
বৃহস্পতিবার ৯ মাসের অসুস্থ শিশুপুত্রকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা দীপক রায়। হাসপাতালে শিশুর সঙ্গে ছিলেন মা। কিন্তু, অভিযোগ, শনিবার হাসপাতালের দেওয়া রাতের খাবারে মেলে মরা কেঁচো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় শিশুর পরিবার।
দীপক রায় বলেন, বেবি ওয়ার্ডে যে খাবার দেয় তাতে কেঁচো ছিল। প্রায় ৫০ জন পেশেন্ট ছিল। সেই খাবার সকলে খায়। অনেকে বমি করে। আমি দেখে খেতে দিইনি। যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁদের সাসপেন্ড করা উচিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়ায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করার দায়িত্ব ঠিকাদার সংস্থার। ঠিকাদার সংস্থার মালিককে এনিয়ে জানতে তিন বার ফোন করা হলেও, তিনি ধরেননি। মুখ খুলতে চাননি হাসপাতালের ক্যান্টিন ইনচার্জ।
এদিকে জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে কী ঘটেছিল ?
দিনকয়েক আগেই রোগীদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের বদলে নিম্নমানের খাবার (Low-quality Food) দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ক্যান্টিনে হানা দেন সুপার, বিধায়ক ও মহকুমা শাসক। হাতেনাতে বিষয়টি ধরেন তাঁরা। এরপর ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
মাছের বদলে দেওয়া হয় ডিম। তাও আবার ভাঙা। খাওয়ার অযোগ্য তরকারিও। অনেক দিন ধরেই এই অভিযোগ তুলে আসছিলেন, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের রোগীরা। এবার সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে যান কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক ও মহকুমাশাসক। ঢুঁ মারেন হাসপাতালের ক্যান্টিনে। দেখা যায়, রোগীদের খাবারে মাছের বদলে দেওয়া হচ্ছে ডিম... তাও আবার অর্ধেক ভাঙা, কিছু আবার পচাও। নিম্নমানের খাবার দেখে ক্ষুব্ধ বিধায়ক, মহকুমাশাসক দু’জনেই। রোগীরা অভিযোগ করছিলেন, খাবার নিম্নমানের হয়। এরপরই হাসপাতালের সুপার, মহকুমা শাসক, বিধায়ক ক্যান্টিনে হানা দেন। ডিম খেয়ে দেখেন পচা। ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মহকুমা শাসক।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)