Malbazar : 'স্থায়ী নয়', নিয়োগপত্র পেয়েও কর্মস্থলে যোগ দিলেন না মালবাজারে হড়পা বানে নিহতের দাদা
Job Contro : মালবাজারে হড়পা বানে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি হোমগার্ডে চাকরিও দিয়েছে রাজ্য সরকার
রাজা চট্টোপাধ্যায়, মালবাজার : চাকরি স্থায়ী নয়। তাই নিয়োগপত্র (Appointment Letter) পেয়েও কর্মস্থলে যোগ দিলেন না মালবাজারে (Malazar) হড়পা বানে (Flash Flood) নিহত সুস্মিতা পোদ্দারের দাদা সুদীপ। তাঁর দাবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী, তাঁকে কোনও স্থায়ী চাকরি দেওয়া হোক। এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ওদের বলার এক্তিয়ারই নেই, বলে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
হড়পা বানে নিহতের দাদা ও চাকরিপ্রার্থী সুদীপ পোদ্দার বলেন, আমাকে যে চাকরিটা দেওয়া হয়েছিল, সেটা হচ্ছে আসলে চুক্তিভিত্তিক। আমি একটা প্রেয়ার দিয়েছি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যে এই চাকরিটা নিতে পারছি না। তার পরিবর্তে যদি কোনও স্থায়ী চাকরি দেওয়া হয় তাহলে আমি অবশ্যই করব।
মালবাজারে হড়পা বানে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি হোমগার্ডে চাকরিও দিয়েছে রাজ্য সরকার। যার নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, সেই চাকরি স্থায়ী নয় বলে, তাতে যোগ দিতে অস্বীকার করলেন হড়পা বানে নিহত সুস্মিতা পোদ্দারের দাদা সুদীপ পোদ্দার। তিনি বলেন, পুলিশের হোমগার্ড বিভাগের দেওয়া এনরোলমেন্ট শংসাপত্র দেওয়া হয়। এই চাকরি ভলেন্টিয়ার ইন নেচার বলে উল্লেখ আছে। আমি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের সাথে জব প্রোফাইল নিয়ে যোগাযোগ করি। আমি বুঝতে পারি, এই চাকরি মুখ্যমন্ত্রী প্রদেয় আশ্বাসের মোতাবেক স্থায়ী সরকারি চাকরি নয়।
হড়পা বানের বলি-
গত ৫ অক্টোবর দশমীর বিসর্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানের তোড়ে মৃত্যু হয় ৮ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাল পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কলোনির বাসিন্দা সুস্মিতা পোদ্দার। গত ১৮ অক্টোবর মালবাজারের প্রশাসনিক বৈঠকে স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের হাতে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনেকে চাকরিতে যোগ দিলেও, আপত্তি তুলেছেন সুদীপ। একদিকে, নিয়োগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলছে রাজ্যে। তখন সরকারি তরফে দেওয়া হোমগার্ডের চাকরি নিতে অস্বীকার করছেন যুবক ! তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনীতি।
জলপাইগুড়ির মালবাজার টাউন বিজেপির সভাপতি নবীন সাহা বলেন, ওঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। সংসার চলত এর আর বোনের ওপর। স্থায়ী চাকরি পেলে পরিবারটা বাঁচত। বোনের মৃত্যুর পর বাড়ি পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। কত বেতন, কত স্কেল, কিছু মেনশন করা হয়নি।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ পাল্টা বলেন, বিজেপির এখআনে কোনও এক্তিয়ার নেই কিছু বলার। একটা ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, শংসাপত্র দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে স্থায়ী চাকরির আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন সুদীপ। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক জানিয়েছেন, সুদীপ পোদ্দারের আবেদনপত্র তাঁরা পেয়েছেন। তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।
আরও পড়ুন ; মালবাজার-বিপর্যয়ে উদ্ধারকারী ৭ যুবককে ১ লক্ষের চেক, মৃতের পরিবারকে সরকারি চাকরি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী