Mamata Banerjee: মালবাজারের হড়পা বানকাণ্ডে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা, টুইটে শোকপ্রকাশ মমতার
Mamata on Harpa Ban : শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: প্রতিমা বিসর্জনের সময় হঠাৎই জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বান ( Harpa Ban incident)। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও অনেকে। আশঙ্কা, আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। এই ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মৃতের নিকট আত্মীয়কে ২ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ির মাল নদীতে দুর্গা বিসর্জনের মুহূর্তে হড়পা বানে ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শান্তি কামনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৩ জন এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আমি ওনাদের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করি। এই মুহূর্তে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এখনও খোঁজ এবং তল্লাশি কার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।' পাশাপাশি এই ঘটনার পর কোনও প্রয়োজনে, দুটি জরুরী ফোন নাম্বারও শেয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হেল্পলাইন নাম্বার দুটি হল ০৩৫৬১ ২৩০ ৭৮০ এবং ৯০৭৩৯ ৩৬৮১৫ ।
A tragic flash flood hit the Mal River in Jalpaiguri as Durga Visarjan was underway.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 6, 2022
8 people lost their lives, I pray that their families find strength & solace in these difficult times.
13 people are undergoing treatment at Mal SSH, I pray for their speedy recovery.
(1/3)
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ১০ বছরের এক বালিকা রয়েছে। গতকাল মাঝরাত পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। তারপর প্রবল বৃষ্টির জেরে উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ হয়। আজ সকালে নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে গতকাল প্রতিমা বিসর্জনের সময় ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন ঘটনাস্থলে। সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে দড়ি ছাড়া কিছু ছিল না। বিপর্যয় যখন ঘটে, তখন যদি সিভিল ডিফেন্সের আরও কর্মী থাকতেন, তাহলে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা যেত বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন, বিসর্জন দেওয়া প্রতিমার কাঠামোয় আটকে যাওয়া দেহ উদ্ধার, ফের শোকের ছায়া বাবুঘাটে
এই বিপর্যয় নিয়ে স্থানীয় সূত্রে একটা সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে, যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল থাকে। হড়পা বানের সময় তা হিতে বিপরীত হয়েছে। যেখানে বিসর্জন হচ্ছিল, সেদিকেই প্রবল স্ত্রোত এসে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। কয়েকদিন আগেই এই নদীতে হড়পা বান হয়। তারপরও কেন বিসর্জনের সময় বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে।