Jalpaiguri News: 'টাকা না দিতে পারায়' মাকে খুন, মৃতদেহ আগলে একই ঘরে রাত্রিবাস ছেলের
টাকা নিয়ে বচসা, মদ্যপ অবস্থায় নিজের মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে ।ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে বানারহাট থানার পুলিশ।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: টাকা নিয়ে বচসা, মদ্যপ অবস্থায় নিজের মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে (Jalpaiguri Murder Case)। তারপর রাতভর মায়ের মৃতদেহ আগলে একই ঘরে রাত্রিবাস খুনে অভিযুক্ত ছেলের।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের (Dooars) বানারহাট থানার তেলিপাড়া চা বাগান এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে মৃত মহিলার নাম বাবলী ওরাও (৬২)। তেলিপাড়া চা বাগানের কুমা লাইনের বাসিন্দা। ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে বানারহাট থানার পুলিশ।
মা, টাকা না দিতে পারায় খুন করে ছেলে, রাতভর মায়ের মৃতদেহ আগলে একই ঘরে রাত্রিবাস
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত যুবকের নাম উত্তম ওরাও। সোমবার সকাল পর্যন্ত এই ঘটনা কেউ জানতেও পারেননি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবলি ওরাও প্রতিদিন মেয়ের বাড়িতে চা খেতে যেতেন। কিন্তু সোমবার সকালে আর চা খেতে যাননি। তাই মেয়ে মায়ের খোঁজ করতে বাড়িতে আসে। মাকে বাড়িতে খুঁজতে এলে দেখতে পায় ভয়াবহ দৃশ্য। ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মা। পাশেই বসে রয়েছে তাঁর ভাই উত্তম ওরাও। তখনই প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় তেলিপাড়ার পুলিশ ফাঁড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ আধিকারিকরা। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বানারহাট থানায়। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ওই যুবককে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, টাকা নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যে বচসা হতো। মা, টাকা না দিতে পারায় খুন করে ছেলে, বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ইতিমধ্য়েই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠানো হচ্ছে।
জন্মদাতাকে খুন করে সেই ঘরেই রাত্রিবাসের ঘটনা আছে আরও একাধিক
তবে এই প্রথমবার নয় জন্মদাতাকে খুন করে সেই ঘরেই রাত্রিবাসের ঘটনা আছে আরও একাধিক।উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই বাড়িতেই ছেলের হাতে খুন হন ঠাকুরপুকুরের পরেশনাথ-ঊষারানি সরকার। বাড়িতেই মাথা কেটে পরেশনাথ-ঊষারানি সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। তদন্তে জানা যায়, বাড়ির দোতলায় বাবা এবং একতলায় মাকে গলা কেটে খুন করে ছেলে। এখানেই শেষ নয়, নৃশংসভাবে খুনের পরেও দু’জনের মৃতদেহ একতলায় আনার পরে পাশের ঘরে রাত কাটায় ছেলে। এদিকে পরের দিন মিস্ত্রী ডেকে বাড়ির মধ্যে চৌবাচ্চার গর্ত খোঁড়ার সময় সন্দেহ হয় আত্মীয়দের। এরপর সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেয় আত্মীয়রাই। খবর পুলিশের কাছে পৌঁছতেই গ্রেফতার করা হয় ছেলে শোভন সরকারকে। ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে ৯ বছর। সম্প্রতি ঠাকুরপুকুরে বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ছেলে শোভন সরকার। অভিযুক্ত ছেলের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।