Jalpaiguri : অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি
Police arrest five Bangladeshi nationals : পাচারকারীদের সহযোগিতায় তারা বুড়ির জোত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ আউটপোস্টের পুলিশ নাকা চেকিং করে ৫ জনকে ধরে
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : নাকা চেকিংয়ের সময় গ্রেফতার বাংলাদেশের একাধিক নাগরিক। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ বাংলাদেশের ৫ নাগরিককে গ্রেফতার করল। জলপাইগুড়ির মানিকগঞ্জ আউটপোস্টের পুলিশ তাদের পাকড়াও করে। কাজের সন্ধানে তারা ভারতে ঢুকেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ধৃতদের নাম- লিটন শেখ,হৃদয় শেখ, যুবাইদুল শিকদার, আনারুণ মিঞা, পারভিন বেগম।
ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের খারিজা বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দাস পাড়া মোড় থেকে ধরা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের নারালি জেলায়। পাচারকারীদের সহযোগিতায় তারা বুড়ির জোত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ আউটপোস্টের পুলিশ নাকা চেকিং করে ৫ জনকে ধরে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাসে করে আসছিল। হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়িগামী NBSTC বাসে করে শিলিগুড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
দিনকয়েক আগেই কলকাতায় ২১ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয় তাদের। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ জাল নথি। ঘটনায় জঙ্গি-যোগ আছে কি না খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গত রবিবারের দুপুরে আনন্দপুর থানার অন্তর্গত গুলসন কলোনির বহুতল থেকে ধরা হয় বাংলাদেশিদের। গুলসন কলোনির বহুতলের একতলায় থাকত বাংলাদেশিরা। বৈধ কাগজ নেই। প্রতিবেশীরা বলছেন, মাস দেড়েক আগে আসে এরা।
কলকাতা পুরভোটের (Municipality Vote) ঠিক এক সপ্তাহ আগে খাস কলকাতায় (Kolkata) গ্রেফতার হয় মোস্ট ওয়ান্টেড বাংলাদেশি (Banglades People)। অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক আরও ২০ জন বাংলাদেশের নাগরিক (Bangladesh People)। বাজেয়াপ্ত জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ প্রচুর নথি। ঘটনায় রয়েছে কি জঙ্গি-যোগ?
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি লখনউ (Lucknow) ATS লালবাজারের (Laalbazar) গুন্ডাদমন শাখাকে জানায়, মানুষ পাচারে অভিযুক্ত মাফুজুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি কলকাতায় আত্মগোপন করে রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (Uttarpradesh Police) খাতায় মাফুজুর মোস্ট ওয়ান্টেড। এরপর তার মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা হয়।
গুলশন কলোনির এই বহুতলে হানা দেয় পুলিশ। লখনউ ATS, লালবাজারের (Laalbazar Police) গুন্ডাদমন শাখা ও আনন্দপুর থানার যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে মাফুজুর। ধৃতের বাড়ি, বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জে। তার বিরুদ্ধে মানুষ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। মাফুজুরকে যখন পাকড়াও করা হয়, তখন দেখা যায় ওই ঘরের মধ্যেই রয়েছেন আরও ২০ জন।