Jaynagar: খুনের জন্য লক্ষাধিক টাকার সুপারি? তৃণমূলের সভাপতি খুনে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
TMC: নের আগের দিনই এলাকায় চলে আসে ভাড়াটে খুনিরা। খুনের আগে রেকিও করে। এরপর...
জয়নগর: তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্করকে খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে দাবি, খুনের জন্য লক্ষাধিক টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। খুনের আগের দিনই এলাকায় চলে আসে ভাড়াটে খুনিরা। খুনের আগে রেকিও করে। এর পর ভোরবেলা নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় পরিকল্পনামাফিক তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতিকে ঘিরে ধরে গুলি করা হয়। প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল নেতাকে খুনে সুপারি দেওয়ার পিছনে কে? মাত্র ৪ দিন ধরে ভোরে বেরোচ্ছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। সেই খবর কে পৌঁছে দিল আততায়ীদের কাছে? পুলিশের কাছে এ সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।
সিসি ক্যামেরায় মুহূর্তের ছবি: জয়নগরের বামনগাছিতে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের আগের মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, ভোর ৫টার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে একাই যাচ্ছিলেন সইফুদ্দিন। সেই সময় দুটি বাইকে ৫ জন দুষকৃতী তাঁর পিছু নেয়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালানো হয়। তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন লস্করকে পিটিয়ে মারার পর, সেখান থেকেই উদ্ধার হয় দুটি বাইক। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে জয়নগরে (Jaynagar) জোড়া খুন ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩টি মামলা রুজু করেছে জয়নগর থানার পুলিশ (Jaynagar Police Station)। তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দলুয়াখাকি গ্রামের সিপিএম (CPM) নেতা-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি, তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, সিপিএম কর্মী, সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাতেও পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে।
খুনের বদলা খুন: জয়নগরের বামনগাছিতে জোড়া খুনের পর ৫ কিলোমিটার দূরে দলুয়খাকি গ্রামে বেছে বেছে পোড়ানো হয় সিপিএম কর্মী, সমর্থকদের ১৬টি বাড়ি। গ্রামের অবস্থা খতিয়ে দেখতে আজ দলুয়াখাকি গ্রামে যাওয়ার কথা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়-সহ সিপিএম নেতাদের। গতকাল দলুয়াখাকি গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনেই চলেছে ভাঙচুর, আগুন, লুঠপাট। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের অনুগামীরা তাণ্ডব চালায়। দমকলের গাড়িও দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। সব হারানো মানুষগুলো এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, তৃণমূল নেতা খুনের সঙ্গে তাঁদের কী সম্পর্ক।