Jhalda Murder Update : তপন কান্দু খুনে অভিযুক্ত দীপককে জেলে গিয়ে জেরা সিবিআইয়ের
CBI interrogates Dipak Kandu : কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াই এদিন পুরুলিয়া জেলা আদালতে জবানবন্দি দেন
ঝালদা : ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর (Jhalda Congress Councillor) তপন কান্দু খুনের (Tapan Kandu Murder) ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী দীপক কান্দুকে জেলে গিয়ে জেরা সিবিআইয়ের। সিটের হাতে গ্রেফতার হওয়া দীপক আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন। আজ তাঁকে জেরার জন্য পুরুলিয়া জেলা আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই। আদালত আবেদন মঞ্জুর করায় জেলে গিয়ে দীপককে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
পাশাপাশি, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াই এদিন পুরুলিয়া জেলা আদালতে জবানবন্দি দেন। সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে আদালতে হাজির করেন।
ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ভাইপো দীপক কান্দুকে গত মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তিনি। পুরভোটে কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কাছেই হারেন দীপক কান্দু। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
গত ১৩ মার্চ খুন হন ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ এখনও হয়নি। রহস্যময় পরিস্থিতিতে খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুর কিনারাও এখন হয়নি। তারই মধ্যে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ছেলেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে! সেই তৃণমূল কর্মী পাল্টা তপন কান্দুর পরিবারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ করেছেন।
ঝালদাকাণ্ডে অভিযোগ...পাল্টা অভিযোগের পর্ব চলছে। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদে সিবিআই কবে করতে পারে, সেদিকেই সবার নজর।
এদিকে সম্প্রতি ঝালদাকাণ্ডের (Jhalda Murder Case) তদন্তে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অসঙ্গতি ছিল বলে অভিযোগ। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর, তপন কান্দুর খুনের তদন্তভার, সিটের থেকে নিয়ে সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, তদন্তে নামার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কিছুতেই মিলছিল না।
১৩ মার্চ তপন কান্দুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়। একটি গুলি তাঁর পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়, আরেকটি মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রত্যক্ষদর্শীরা বয়ান অনুযায়ী, কংগ্রেস কাউন্সিলরকে যেদিক থেকে গুলি করা হয়, তাতে গুলি ডানদিক দিয়ে ঢুকে বাঁ দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, গুলি বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে ডান দিকে দিয়ে বেরিয়েছে।