(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Jhargram News : হাতির হানায় চারজনের মৃত্যু, ঝাড়গ্রামে রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের
Elephant Attack : বন প্রতিমন্ত্রীকে বৃহস্পতিবার ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ফোন সুইচড অফ ছিল।
অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম : হাতির হানায় চারজনের মৃত্যুতে ঝাড়গ্রামে (Jhargram) রাস্তা অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সকালে ঝাড়গ্রাম-জামবনি রাস্তা অবরোধ করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, বন প্রতিমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকায় ঘটনা ঘটলেও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি। প্রতিক্রিয়া জানতে মন্ত্রীকে ফোন করা হলেও তাঁর ফোন ছিল সুইচড অফ।
ঝাড়গ্রাম শহরে হাতির আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে বাসিন্দাদের। পরপর দু’দিনে হাতির হানায় (Elephant Attack) মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। হাতির তাণ্ডবে প্রাণহানি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়গ্রাম-জামবনি রাস্তা অবরোধ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, ঝাড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক ও বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বাড়ির কাছে বুধবার ২টি পূর্ণবয়স্ক হাতি ও একটি হস্তিশাবক হানা দেয়। চারজনকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় দেয় দু’টি হাতি। মৃত্যু হয় ২ জনের।
সেখান থেকে তাড়া খেয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চলে আসে তিনটি হাতি। সেখানে হাতির হানায় মৃত্যু হয় এক মহিলার। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আহত একজনের। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাতির হানায় পরপর মৃত্যুর পরও ঘটনাস্থলে আসেননি বন প্রতিমন্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছেন, 'হাতির হামলা প্রায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রী বলেন দুয়ারে দুয়ারে যাবেন। উনি দুয়ারে আসছেন না। হাতি দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। বন আধিকারিক ফোন ধরেননি না। বন প্রতিমন্ত্রী ঘটনাস্থলে আসেন না'।
ঝাড়গ্রাম বন দফতরের রেঞ্জার প্রদীপ সেনগুপ্ত বলেছেন, 'আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সরকারি ব্যবস্থা করা হবে। হাতিদের অন্য জায়গায় সরানোর ব্যবস্থা করে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য করা হবে মৃতদের পরিবারকে।'
এদিকে, বন প্রতিমন্ত্রীকে বৃহস্পতিবার ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ফোন সুইচড অফ ছিল।
আরও পড়ুন- 'আমিও আইনজীবী, যে কোনও কেসে প্রয়োজনে কোর্টে যেতে পারি' : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্প্রতি জঙ্গলমহলবাসীকে দাঁতালদের থেকে বুদ্ধি করে বাঁচায় স্কুল পড়ুয়ার দল। জঙ্গলে খাদ্যাভাব হাতির (Elephant)। লোকালয়ে প্রবেশ আটকাতে কয়েক কুইন্ট্যাল ফলের বীজ নিয়ে জঙ্গলে যায় ছাত্রছাত্রীরা (Students)। জঙ্গলে হাতির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে, কমে গিয়েছে তুলনামূলক ভাবে তাদের খাদ্যের সংস্থান ৷ ফলে খাবার না পেয়ে প্রায়শই লোকালয়ে প্রবেশ করে হাতির পাল গৃহস্থের ফলের গাছ, বাড়ির ভেতরে থাকা খাদ্য শস্যের জন্য হানা দিচ্ছে ৷ এই খাদ্যের তল্লাশিতে প্রাণ যাচ্ছে গ্রামবাসীদের ৷ এই চিত্র মেদিনীপুর সদরেও প্রায়শই দেখা যায় ৷ সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে মাঠে নামল জঙ্গলমহল এলাকার একটি বিদ্যালয় ৷