Jhargram: নদী পথ পেরোতেই দিন ফুরিয়ে যেত, সমস্যা সমাধানে নিজেরাই ব্রিজ বানালেন গ্রামবাসীরা
গ্রাম বাসিদের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি কাঠের সেতুর উপর ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে যাতায়াত। স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার রাস্তা মাত্র ৮-১০ কিলোমিটারের মধ্যে এসেছে।
অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: যাতায়াতের রাস্তা নেই, তাই স্কুল কলেজের জন্যই হোক বা চিকিৎসা, যেকোনও প্রয়োজনীয় কাজে যেতেই দীর্ঘ নদী পথ পেরিয়ে যেতে হত স্থানীদের। ছবিটা ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের জানাঘাটি, মদনশোলসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজে গোপীবল্লভপুর আসতে প্রত্যেকেরই ওষ্ঠাগত প্রাণ। এভাবেই রোজ ব্যহত হচ্ছিল সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের জনজীবন।
দিনযাপনে বাধ সাধছিল যাতায়াত পরিষেবা। নদী পথে নৌকা করে না হলে প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে সাধারণ মানুষকে গোপীবল্লভপুর বাজারের বুকে পৌঁছাতে হত নানান প্রয়োজনীয় কাজে। আর এই সমস্তদিক বিচার করে সমস্যার সমাধানে গোপীবল্লভপুর ১ নং ব্লকের আসনবনী গ্ৰামের নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগেই সুবর্ণরেখা নদীর ওপর তৈরি করলেন যাতায়াতের ব্রিজ।
গ্রাম বাসিদের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি কাঠের সেতুর উপর ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে যাতায়াত। স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার রাস্তা মাত্র ৮-১০ কিলোমিটারের মধ্যে এসেছে। যাতায়াতের ধকল কমে যাওয়ায় খুশি প্রত্যেকেই। গোপীবল্লভপুরের আসনবনী, জানাঘাটি, করাতনালা, মদনশোল গ্রামের বাসিন্দারদের সুবিধায় তারাও খুশি। উল্লেখ্য, ঝাড়খন্ড রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে নিত্য দিনের প্রয়োজনে গোপীবল্লভপুর বাজারে আসতে হয়। কারণ গোপীবল্লভপুর বাজারের বুকে রয়েছে সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয়, রয়েছে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। অপরদিকে নদীর তীরে রয়েছে পর্যটকদের বড় আকর্ষণের জায়গা বাংলা ঝাড়খন্ড রাজ্যের সীমান্তে থাকা চিত্রেশ্বর শিব মন্দির।
তবে নদীর কারণে যোগাযোগের সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। তাই এই শুখা মরসুমে যোগাযোগের সমস্যা নিরসনে ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের আসনবনী ঘাটে ফেয়ারওয়েদার ব্রিজ। ব্রিজ গিয়ে পৌঁছেছে জানাঘাটি ঘাটে। আসনবনী গ্ৰামের বাসিন্দারা সুখেন চন্দ্র নায়েক, তপন কুমার ভূঁইয়া, দুর্গা বিশুইরা জানান ব্রিজ হতে একদিকে যেমন যোগাযোগের সুবিধা বাড়ল তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হল।