Jiban Krishna Saha: নিয়োগ-দুর্নীতিতে আরও নেতার হদিশ?জীবনকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ জন বিধায়কের নাম CBI-এর হাতে
SSC Scam: সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের বাড়ির কাছে উদ্ধার হওয়া ৫টি ব্য়াগে মিলেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পাতার নথি।
কলকাতা: বড়ঞার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক (MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) মোবাইল ফোনেই (Mobile Phone) কী লুকিয়ে আছে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) গোপন তথ্য? তার হদিশ পেতে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ফোন আজই পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। ২ দিন ধরে জলের মধ্যে পড়েছিল ফোন। সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিআই আধিকারিকরা ড্রায়ার দিয়ে ফোন শুকোনোর চেষ্টা করলেও, সেটিকে এখনও পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি।
সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের বাড়ির কাছে উদ্ধার হওয়া ৫টি ব্য়াগে মিলেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পাতার নথি। সিবিআইয়ের দাবি, এই নথিগুলির মধ্যে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলার নয়, অন্য জেলার চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও মিলেছে। এই সমস্ত অভিযোগ সামনে রেখেই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পালানোর চেষ্টা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারা যুক্ত করার চেষ্টা করছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শাসকদলের আরও দুই বিধায়ক। গতবছরের ২৩ জুলাই, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সেই প্রথম কোনও মন্ত্রী বা বিধায়কের গ্রেফতারি।
এরপর ১১ অক্টোবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি।
আরও পড়ুন, ৯টি গুলিতে ঝাঁঝরা আতিকের দেহ, ছেলের কবরের পাশেই রাখা হল দেহ
শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয়, এবার গরুপাচারেও নাম জড়াল বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচার তদন্তে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহের কাজ আগেই শুরু হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন জীবনকৃষ্ণ। কেষ্টর হাত ধরেই তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। অনুব্রতর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে গরুপাচারে জীবনকৃষ্ণের ভূমিকা কী ছিল, খতিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।