Kali Puja 2025: গভীর জঙ্গলের মাঝে শ্মশান, অষ্টমী ছাড়া বছরের ৩৬৪ দিনই দেওয়া হয় বলি পুরুলিয়ার এই কালী মন্দিরে !
Kali Puja 2025 Diwali Purulia Kali Temple: দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের আদলে রয়েছে মন্দির, কথিত আছে এক সিদ্ধপুরুষ এখানে সাধনা করে এই কালীপুজোর শুরু করেছিলেন

পুরুলিয়া : পুরুলিয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী কালীপুজো রঘুনাথপুর থানা অন্তর্গত মৌতড়ের কালিপুজো। বহু প্রাচীন এই পুজো জেলার সর্ববৃহৎ পুজো , রয়েছে এখানে মায়ের শিলা মুর্তি, দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের আদলে রয়েছে মন্দির।
কথিত আছে এক সিদ্ধপুরুষ এখানে সাধনা করে এই কালীপুজোর শুরু করেছিলেন , গভীর জঙ্গলের মাঝে এখানে শ্মশান ছিল, জঙ্গলে ছিল কুখ্যাত ডাকাতদের বাস।সেখানে সেই সিদ্ধপুরুষ পঞ্চমুন্ডির আসন তৈরি করে মায়ের সাধনা করতেন এর পরে তিনি কালী মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে মূর্তি গড়ে আরম্ভ করেন শক্তির আরাধনা। সেই পুজো আজও চলে আসছে রীতি মেনে ।এখানে বলি প্রথা রয়েছে তবে বলিপ্রথার বিশেষ বৈশিষ্ট্য এখানে দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন ছাড়া বছরের ৩৬৪ দিনই ছাগ বলি হয় , প্রতিদিনই মায়ের নিত্য পুজো, অন্য ভোগ এবং সন্ধ্যা আরতি হয় মন্দিরে। আজও এখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝারখণ্ড , বিহার, উড়িষ্যা থেকে পূর্ণার্থীর সমাগম হয়। কালীপুজোর সাত দিন ধরে বসে মেলা সমাগম হয় লক্ষাদিক পুণ্যার্থীর।
প্রসঙ্গত, হুগলির এই পুজোতেও বলিপ্রথা এখন চালু আছে। হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া ব্লকের আঁটপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আনরবাটি গ্রাম। প্রায় আড়াইশো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই গ্রামে "বড় মা" রুপে পূজিত হয়ে আসছেন মা কালী। একদিনের এই পুজোকে কেন্দ্র করে ভিড় উপচে পড়ে গোটা এলাকায়। নীল বর্ণা , দু-হাত বিশিষ্ট এই কালী পুজিত হন শ্যামা কালীর পুজোর ঠিক আগের দিন। কৃষ্ণ চতুর্দশী বা ভূত চতুর্দশী তিথিতে সূর্যাস্তের পর আনরবাটি গ্রামের প্রায় ৬০ জন যুবক মাকে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে এসে মাটির বেদীতে অধিষ্টিত করেন। তালপাতা দিয়ে মায়ের মাথা ছাউনি করা হয়। সারারাত ধরে চলে পুজো অর্চনা। এখনও এই পুজোয় বলি প্রথার প্রচলন আছে। পরেরদিন সূর্যাস্তের আগেই মাকে বিসর্জন দেওয়া হয় গ্রামের পুকুরে। এক রাতের এই পুজোকে ঘিরে দূরদুরান্ত থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় গোটা আঁটপুর এলাকায়।।
এই পুজোর আরও বৈশিষ্ট্য হল, বড়কালীর সাথে গোটা গ্রামে ছোটকালী, মেজ কালী, ন্যাড়া কালী, ছেলে কালী, সহ আরো ৭টি কালী পুজো হয় একই দিনে, একই সময়ে । বড়কালী বিসর্জন এর পর একে একে বাকি আরো কালী মাকে বিসর্জন দেয়া হয় সূর্যাস্তের আগেই। এরপর সারা বছর জুড়ে এই আনরবাটি গ্রামে আর কোন কালীপুজো হয় না। তাই "বড় মা"এর এই পুজোকে কেন্দ্র করে কার্যত উৎসবে চেহারা নেয় গোটা আনরবাটি এলাকা।।






















