Kamduni Case : ক্ষোভে ফুঁসছে কামদুনি, রাজ্য প্রশাসনকে দায়ী করে ফের পথে প্রতিবাদীরা
Kamduni Case Verdict : কামদুনিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন CID আধিকারিকরা। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেয় নির্যাতিতার পরিবার। CBI তদন্তের দাবি তোলেন তাঁরা।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে নৃশংস হত্যার ১০ বছর পর ৪ অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গণধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তকে বেকসুর খালাস, মৃত্যুদণ্ড বদলে ২ জনের যাবজ্জীবনের শাস্তি পাওয়া নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে দায়ী করে ফের পথে কামদুনি। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা।
হাইকোর্টের কামদুনির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) যাচ্ছে রাজ্য। ১০ বছরে কেন ১৪ বার আইনজীবী বদল হল, প্রশ্ন নির্যাতিতার পরিবারের। রায় ঘোষণার পর রাতে কামদুনিতেযায় সিআই়ডি। ১০ বছর আগে কেন তৎপরতা দেখাল না সিআইডি (CID), প্রশ্ন কামদুনির বাসিন্দাদের। তদন্তে গাফিলতির জেরেই গুরু পাপে লঘু দণ্ড, অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা ওই পরিবারের। আজ ফের প্রতিবাদের পথে কামদুনির বাসিন্দারা ।এদিকে, 'কামদুনির আন্দোলন নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লির বুকে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নালিশ জানানো হবে' হুঁশিয়ারি কামদুনির প্রতিবাদী টুম্পা কয়ালের।
আর এদিন কামদুনিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন CID আধিকারিকরা। হাইকোর্ট ৬ অভিযুক্তের মধ্যে ৪ জনকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার পর রাতেই কামদুনিকাণ্ডের প্রতিবাদী মৌসুমী কয়ালের বাড়িতে যায় CID। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেয় নির্যাতিতার পরিবার। CBI তদন্তের দাবি তোলেন তাঁরা। কামদুনিতে গেলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী, সিপিএম নেত্রী রমলা চক্রবর্তী। কামদুনি গিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর।
প্রসঙ্গত, আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগে ২০১৩ সালের ৭ ই জুন কামদুনির কান্নাই নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্য়কে। পাঁচিলঘেরা ফাঁকা জমি থেকে উদ্ধার হয় এক কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ। গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছিল তাকে। এই ঘটনার প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল রাস্তায়। কামদুনিকাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিআইডি-কে। গ্রেফতার হয় ৯ জন অভিযুক্ত। ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি, নিম্ন আদালত ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এই রায়কে চালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়েছিল দোষীরা। তথ্যপ্রমাণের অভাবে যেখানে বেকসুর খালাস হয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন- রাজ্যে ফের বলি ডেঙ্গিতে, মৃত্যু হল ১৫ বছরের কিশোরের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন https://t.me/abpanandaofficial -এ