Kasba College Incident: 'রাস্তায় বাঁদরামো করবেন না, বিলে সমর্থন করুন', উঠল 'অপরাজিতা বিল' প্রসঙ্গ; BJP-কে নিশানা তৃণমূলের শশীর
BJP Protest:ঘটনার প্রতিবাদে রাকেশ সিং-এর নেতৃত্বে কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপি নেতাকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তা থেকে তুলে দেয় পুলিশ। বিকেলে কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি যুব মোর্চা।

কলকাতা : 'রাস্তায় বাঁদরামো করবেন না। বিলে সমর্থন করুন।' দক্ষিণ কলকাতার ল’কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপিকে পাল্টা নিশানা তৃণমূলের। তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে 'অপরাজিতা বিলের' প্রসঙ্গ তুলে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করলেন শশী পাঁজা।
তিনি বলেন, "আজকের বিষয় অত্যন্ত মর্মাহত এবং খুবই বেদনাদায়ক। কলকাতা পুলিশ যে মুহূর্তে জানতে পেরেছে, সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিয়েছে। মেয়েটির যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, একেবারে তিন জনকেই হাজতে পুরে দিয়েছে। মেয়েটির বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। তিনটি ছেলেকেই শনাক্ত করে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মোবাইলও সিজ করা হয়েছে। অর্থাৎ, সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন হয়েছে। মেয়েটি ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমরা রয়েছি। কিন্তু, সত্যিই সমবেদনা জানানোর ভাষা থাকে না। কিন্তু, মেয়েকে যদি একটুও শান্তনা দিতে পারি তাহলে বলব, দেখো তোমার উপর যারা এই বর্বর ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ধরে একেবারে হাজতে পাঠিয়েছি। তদন্তে রয়েছে। মেয়েটি ন্যায্য বিচার পাক।"
এরপরই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলকে নিশানা করে শশী বলেন, "আসুন না আলোচনাটা এভাবেই হোক, যে অপরাজিতা বিল ...যেটা আমাদের পবিত্র বিধানসভায় পাস হয়ে গেছে ১০ মাস আগে সর্বসম্মতভাবে। মেয়েদের পক্ষে বিল। অপরাধ হলে, কঠিন শাস্তি। মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। কে আটকে রেখেছে ? বিধায়কদের দাবি, অপরাজিতা বিল আইন হোক। কেন বিল হিসাবে রয়েছে ? কারণ, ভারতীয় জনতা পার্টি আটকে রেখেছে। রাজনীতি করতে চাই না। এখানে যদি ন্যায্য দাবি থাকে, রাস্তায় বাঁদরামো আপনারা করবেন না। আপনারা এই বিলের সমর্থন করুন। মহিলার শরীর তো আপনাদের রাজনীতি করার জন্য যুদ্ধক্ষেত্র নয়।"
ঘটনার প্রতিবাদে এদিন রাকেশ সিং-এর নেতৃত্বে কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপি নেতাকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তা থেকে তুলে দেয় পুলিশ। বিকেলে কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি যুব মোর্চা। কলেজে এ ধরনের ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, "খোঁজ নিয়ে দেখুন, যাদের নাম এসেছে তারা নির্ঘাত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে সংযুক্ত হবে। তারা শিক্ষা কেন্দ্রগুলোকে এভাবে নষ্ট করছে। মেয়েদের সুরক্ষা নেই। আর জি কর কাণ্ডের পর তো তা প্রমাণ হয়ে গেছে...রাজ্যে টপ মেডিক্যাল কলেজগুলোর মধ্যে একটিতে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে..যেখানে আইনের শিক্ষার্থীরা তৈরি হয়, সেখানেই আইন ভাঙা হচ্ছে...তাহলে রাজ্যের অবস্থাটা কী ! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা সামনা হোম মিনিস্টার হিসাবে। তারপরে তাঁর এই যে অদার্থতা, তিনি যতই জগন্নাথদেবের রথ টানুন না কেন ...কালীগঞ্জে মেয়েকে মারা হচ্ছে বোমা দিয়ে, কোথাও মেয়ের ইজ্জত লুঠ করা হচ্ছে...আর জি করে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে...এই পাপের হাত থেকে উনি বাঁচবেন না।"
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় সাড়া পড়ে যায় গোটা দেশে। এর পরই রাজ্য বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪’ পেশ হয়। বিধানসভায় বিল পাস হওয়ার পর তা এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।






















