Kalyan Banerjee: দলের বিবৃতির পরেও অবস্থানে অনড় কল্যাণ, মহুয়াকেও আক্রমণ তৃণমূল সাংসদের
Kalyan Banerjee News: নারী বিদ্বেষী মন্তব্যের পাল্টা মহুয়াকে বেলাগাম আক্রমণ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা: কসবার ল' কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। এই আবহে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। এদিনও ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সাংসদ মহুয়া মৈত্রর মন্তব্যের জবাব দিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।
কসবাকাণ্ডে ফের বিস্ফোরক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিবৃতির পরেও অবস্থানে অনড় শ্রীরামপুরের সাংসদ। এদিন তিনি বলেন, "জিরো টলারেন্সের কথা বলছেন। জিরো টলারেন্স ঘটনা ঘটার আগে না পরে? এই ঘটনা আমি মানতে পারছি না। যতই গালিগালাজ করুন, আমি প্রতিবাদ করবই। নিরাপত্তার কথা বলছেন, নেতাদেরই তো নিরাপত্তা দেওয়া উচিত। রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়, তাহলে কী হবে।'' এখানেই নয়, নারী বিদ্বেষী মন্তব্যের পাল্টা মহুয়াকে বেলাগাম আক্রমণ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আমি নারীবিদ্বেষী নই, মহুয়া নারীবিদ্বেষী। মহুয়া এতটাই নারীবিদ্বেষী, কৃষ্ণনগরে কোনও মহিলাকে উঠতে দেননি। মহুয়া মৈত্রকে আমি ঘৃণা করি। নারী বিদ্বেষী বলে ফায়দা লুটতে চায়।''
তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতাদের সঙ্গে সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী মনোজিৎ মিশ্রের একাধিক ছবি সামনে এসেছে। এর আগেই বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গিয়েছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ বলেন, "আরে সরকারি বলতে কি সব জায়গায় পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে? আপনারা বলছেন, যে প্রতিটা ইনস্টিটিউশনে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে, এটা তো হয় না, এটা কি হয় বলুন, এটা তো হয় না। যে যারা ঘুরছে, যাদের সঙ্গে ঘুরছে তাদেরও ঠিক করা উচিত কাদের সঙ্গে ঘুরছে, কাদের সঙ্গে ঘুরছে না।'' এই মন্তব্যের পাল্টা সরব হন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। X হ্যান্ডেলে পাল্টা লেখেন, "ভারতে নারীবিদ্বেষ প্রায় সব দলেই আছে। তৃণমূলের পার্থক্য হল, এই ধরনের ঘৃণ্য মন্তব্য যেই করুক, আমরা তার নিন্দা করি।''
শুধু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়। এপ্রসঙ্গে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কামারাহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতার মন্তব্যের দায় নিতে নারাজ। গতকালই তারা তা স্পষ্ট করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে- "সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।'' কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।























