Kashmir Terror Attack:জঙ্গি হামলার প্রভাব শ্রীনগরেও, কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত বাঙালি ব্যবসায়ীর
Kashmir Situation Update: কাশ্মীরি কাওয়া আর সিক কাবাবের রমরমার মাঝে, বছরের পর বছর ধরে বাঙালিকে মাছ-ভাতের সুখ দিয়ে আসছে মিড সিটি হোটেল।

সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, শ্রীনগর: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Kashmir Terror Attack) পর কেটে গিয়েছে সাত দিন। ভয়াবহ সেই ঘটনার প্রভাব পড়েছে শ্রীনগরেও। শ্রীনগরের খায়ামচকে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ দোকান। পর্যটকদের অভাবে দোকান বন্ধ করে কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এক বাঙালি হোটেলের ম্য়ানেজার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
ঘটনার প্রভাব পড়েছে শ্রীনগরেও: কাশ্মীরি কাওয়া আর সিক কাবাবের রমরমার মাঝে, বছরের পর বছর ধরে বাঙালিকে মাছ-ভাতের সুখ দিয়ে আসছে মিড সিটি হোটেল। ১২ বছর ধরে শ্রীনগরের খায়ামচকের এই দোকান মন ভাল করেছে বহু বাঙালি পর্যটকের। কিন্তু ২২ এপ্রিল, পহেলগাঁওতে হিনদু পর্যটকদের হত্য়ার ঘটনা বদলে দিয়েছে এই হোটেলের ছবিটা। এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি কাশ্মীর। শ্রীনগরে এক সপ্তাহ আগে যে ছবি ছিল, এখন তা বদলে গিয়েছে। খায়ামচকে দোকানপাট বন্ধ। পর্যটক নেই। তারা বলছে এই ছবি আগে দেখেনি।
দোকানের উপরে লেখা, বাঙালি ধাবায় স্বাগত। কিন্তু এই হোটেলেই এখন মাছি তাড়াচ্ছে কর্মীরা। পরিস্থিতি এমন যে তালা ঝুলিয়ে, হোটেলের ৮ কর্মীকে নিয়ে বাংলায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ম্য়ানেজার তাপস পাল। তাঁর কথায়, "ফিরে যাচ্ছি। এক সপ্তাহ আগে তো প্রচুর ভিড় ছিল। কিন্তু এখন বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী জানি না কবে ঠিক হবে। আমাদের ৮ জন কর্মী ছিল এখানে। আমরা সবাই একসঙ্গে যাচ্ছি এখন বাড়ি। এখন তো বর্তমানে চলে যাচ্ছি কোনও কাজকর্ম নেই বলে এখন বেকার হয়ে গেছি আমরা সবাই। ওখানে গিয়েও বেকার। হঠাৎ করে তো কেউ কাজ দেবে না। যত তাড়াতাড়ি কাশ্মীরের অবস্থা ঠিক হবে, আমরা আবার আসার চেষ্টা করব কাশ্মীরে।''
নিরাপত্তার স্বার্থে এবং তল্লাশি অভিযানের জন্য় কাশ্মীর উপত্য়কার ৪৮টি পর্যটনস্থলকে পর্যটকদের জন্য় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জম্মু কাশ্মীর সরকার। তালিকায় নাম রয়েছে- বাদগামের ইউসমার্গ, তুসাময়দান দুধপাথরি। রয়েছে আহারওয়াল জলপ্রপাত, কৌসরনাগ, কুপওয়াড়ার বাঙ্গুস উপত্যক-সহ একাধিক পর্যটনস্থল। এছাড়াও একাধিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, রিসর্টকেও সুরক্ষিত নয় বলে ঘোষণ করা হয়েছে সরকারের তরফে। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি আগের মতো হোক, চাইছেন স্থানীয়রাও। শ্রীনগরের এক বাসিন্দা সজাদ বলেন, "আমরা ২ দেশের মধ্য়ে ফেঁসে গেছি। এইদিক থেকেও ওদিক থেকেও। ১৯৪৭-এর এদের নিজেদের মধ্য়ে লড়াই। আমরা কাশ্মীরিরা ফেঁসে গেছি এতে। প্রচুর ব্য়বসা একসঙ্গে জড়িত।''






















