Kharagpur: খড়্গপুরে চা চক্রে এসে ফের রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ
প্রথমে খড়্গপুর শহরের একটি জনপ্রিয় মা কালীর মন্দিরে প্রণাম করে সোজা খড়্গপুর স্টেশনে পৌঁছান। সেইখানেই চা চক্রে যোগ দেন তিনি। চা খেয়েই সোজা খড়্গপুরের রেলওয়ে বি.এন.আর গার্ডেনে পৌঁছান।
বিশ্বজিৎ দাস, খড়্গপুর: প্রত্যেক দিনের শুক্রবারও চা চক্রে যোগ দিলেন দিলীপ ঘোষ। প্রথমে খড়্গপুর শহরের একটি জনপ্রিয় মা কালীর মন্দিরে প্রণাম করে সোজা খড়্গপুর স্টেশনে পৌঁছান। সেইখানেই চা চক্রে যোগ দেন তিনি। চা খেয়েই সোজা খড়্গপুরের রেলওয়ে বি.এন.আর গার্ডেনে পৌঁছান। রেলওয়ের ওই গার্ডেনে টিতে সৌন্দর্যায়ন কাজ হয়েছে। এই গার্ডেনটি সাংসদ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাংলোর বাইরেই সেই ক্ষেত্রে রেল দ্বারা তৈরি সৌন্দর্যায়নের কাজ দেখতে বি.এন.আর রেলওয়ে গার্ডেনে পৌঁছন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'বাংলায় শহীদ সম্মান যাত্রা হিসেবে বেরিয়েছে। অনেক বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করতে হচ্ছে, মন্ত্রীদেরকে গ্রেফতার হতে হচ্ছে। মাননীয় ডঃ সুভাষ সরকারের যে যাত্রা ঝাড়গ্রাম থেকে বেরিয়ে খড়গপুর, মেদিনীপুর, ডেবরা হয়ে আরামবাগ যাবে। আমরা তাকে স্বাগত করার জন্য আছি। আমার মনে হয় নিয়েই যাত্রা নিয়ে কোথাও কোন সমস্যা হয়েছে। পুলিশ বা প্রশাসনের অভ্যাসবশত বিজেপিকে কিছু করতে দেওয়া যাবে না তাই গতকাল আমাদের মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে কেস করেছে। অথচ দুয়ারে সরকারে হাজার হাজার লোকের মেলা লেগেছে। খেলা হবে দিবসে খেলা হল তাতে কারুর বিরুদ্ধে কেস হল না। এই দ্বিচারিতা সরকারের গতকাল কোর্টের জাজমেন্ট এসেছে। তাতে বোঝা গেছে এই সরকার কত দ্বিচারিতা করে। আমরা চেয়েছিলাম এ সমস্ত ঘটনা তদন্ত হোক। দোষীরা শাস্তি পাক। যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ পাক। রায় দেখে বোঝা যাচ্ছে সেগুলো সব কোর্ট মেনেছেন। এবার সিবিআই তদন্ত হবে অভিযোগ সত্য কিনা। প্রায় এগারো থেকে সাড়ে এগারো হাজার ঘটনা আমার কাছে লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস সত্য সামনে আসবে। এর থেকে এই সরকার শিক্ষা নেবে।'
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'এতদিন যে সব ডাক্তার মারা গেছেন। উনি ঘোষণা করেছিলেন ডাক্তারদেরকে দশ লাখ না পঞ্চাশ লাখ দেবেন। আমি জানিনা কজন পেয়েছেন। সরকারি কর্মচারীরা অসুস্থ হলে তাদের এক লাখ করে দেবেন। দু একশ লোককে দিয়ে লিস্ট গন্ডগোল করা হচ্ছে। বাকিরা পাইনি। উনার ঘোষণা করার অভ্যাস আছে। এই যে পাঁচশো টাকার ঘোষণা। ভোটের আগে জঙ্গলমহলে এসে বলেছিলেন গৃহিণীরা পাঁচশো টাকা করে পাবেন। ভোট শেষ হয়ে গেছে, এখন পয়সা নেই। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া অভ্যাস। যেগুলি উনি বলেন সেগুলো উনার করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে লোক উনাকে সম্মান দেয়। এই ধরনের ছেঁদো কথা বলে রাজনীতিটা করা উনার সভা দেয় না।'