Kolkata News: ১৮ কোটির প্রতারণা! যোগীরাজ্যে ধৃত আমির, 'ফাটা প্যান্ট থেকে ৪ কোটির গাড়ি', শুভেন্দুর নিশানায় কে!
Amir Khan Case: ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে পার্ক স্ট্রিট থানায় আমিরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়।
প্রকাশ সিনহা, অনির্বাণ বিশ্বাস ও বিটন চক্রবর্তী, কলকাতা: মোবাইল অ্যাপে প্রতারণা কারবারে গার্ডেনরিচে (Garden REach) কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত আমির খান (Amir Khan)। গতকাল রাতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদের সেক্টর ফাইভের অলিভ কাউন্টি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়েরের পর শনিবারই কলকাতায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে ই-নাগেটস মোবাইল অ্যাপের মালিক আমিরকে (Kolkata News)।
উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত আমির খান
এর আগে, ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে পার্ক স্ট্রিট থানায় আমিরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর, গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল লেনে আমিরেরর বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি-র তল্লাশিতে উদ্ধার হয় ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।
আমিরের গ্রেফতারির পরও যদিও শাসক-বিরোধী তরজা জারি। পার্ক স্ট্রিট থানায় দেড় বছর আগে অভিযোগ জমা পড়া সত্ত্বেও, আমিরের বিরুদ্ধে পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নিল না, উঠছে প্রশ্ন।
আমিরের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হওয়ার পরই ইডি-র অভিযানে উদ্ধার হয় প্রায় ১৮ কোটি টাকা। কিন্তু আমিরের কোনও হদিশ মিলছিল না। হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর বিদেশ যাওয়া আটকাতে গত সপ্তাহে লুকআউট নোটিসও জারি করা হয়। তার পরই শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ তাঁর নাগাল মেলে।
তবে দেড় বছর পর আচমকা পুলিশের এই সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, "কলকাতা পুলিশ বলে কিছু নেই, মমতা পুলিশ। দলদাস চটি-চাটা এগুলো লোকে বলেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর ভাইপো না বললে, পুলিশ নড়ে না।"
আরও পড়ুন: Kurmi Protest : আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করল আদিবাসী কুড়মি সমাজ, উঠল রেল অবরোধ
ইডি-র হাতে বিপুল টাকা উদ্ধারের পর, ভাবমূর্তি রক্ষাতেই কি পুলিশ নড়েচড়ে বসল! প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, "দেবযানী দিদিমণির মা ফাঁস করে দিয়েছে। সিআইডি, এসটিএফ এবং পুলিশ কী করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইশারায়। কিন্তু কোনও সুবিধা হবে না। একসঙ্গে একই জিনিসে দু’জন তদন্ত করতে পারে না।"
উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে এর আগেও রাজ্যের মন্ত্রী তথা শহর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এ দিন শুভেন্দুর মুখে তার পুনরাবৃত্তিই শোনা যায়। নাম না করে তিনি বলেন, "আমিরের এই টাকা, এটা হচ্ছে শামস ইকবালের টাকা। শামস ইকবালের সঙ্গে কলকাতার ওই মিনি পাকিস্তান বলা লোকের লোকের সম্পর্ক সবাই জানে। একজন কাউন্সিলর ফাটা প্যান্ট পরত, এখন ৪ কোটি টাকার গাড়ি চড়ে কর্পোরেশনে আসে। এদের চুরির লিমিট মানে সব ক্রস করে গেছে।"
তবে শুভেন্দুর অভিযোগ নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ ফিরহাদ। তাঁর কথায়, "এদের নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই মানুষের। আইন আইনের পথে চলবে। নতুন দলে গিয়ে উনি সাম্প্রদায়িক কথা বলে অন্য দিশা দেখানোর চেষ্টা করছেন। এ সব বাংলা খায় না।"
বিপুল টাকা উদ্ধার নিয়ে রাজনৈতিক তরজা
গত ১০ সেপ্টেম্বর মেডিয়াবুরুজে হানা দেয় ইডি। তার কিছু ক্ষণ আগেই আমির ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন বলে জানা যায়। ইডি আসছে খবর পেয়েই তিনি পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। আমিরকে হেফাজতে নিয়ে এই নিয়ে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডি-র তদন্তকারীরা। নিজের মোবাইল, ল্যাপটপও নিয়ে পালিয়েছিলেন আমির। সেগুলো ঘেঁটে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।