Baguiati Abduction: বাগুইআটি থেকে গৃহবধূকে গাড়িতে তুলে বেহুঁশ করে অপহরণের অভিযোগ
Baguiati Abduction allegation: অভিযোগকারিণীর দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা নাগাদ তিনি বাজারে দুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন।অভিযোগ,সেই সময় চার যুবক তাঁকে অনুসরণ করে। বিপদ বুঝে তিনি বাগুইআটি সাবওয়ের কাছে চলে যান।
প্রকাশ সিনহা ও জয়ন্ত পাল, কলকাতা: বাগুইআটি (Baguiati) থানা এলাকা থেকে গাড়িতে তুলে এক গৃহবধূকে (Housewife) অপহরণের (Abduction) অভিযোগ। বেহুঁশ করে হুগলির বলাগড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। হুঁশ ফিরলে চিৎকার শুরু করেন অপহৃত মহিলা। বিপদ বুঝে মহিলাকে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এক ব্যক্তির মোবাইল নিয়ে স্বামীকে ফোন করেন ওই মহিলা। এভাবে বলাগড় থেকে কোনওরকমে অপহরণকারীদের হাত ছাড়িয়ে রক্ষা পান পান মহিলা। এই ঘটনায় বাগুইআটি থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা বাগুইআটিতে ঘটেছে বলে অভিযোগ। ভর সন্ধেয় গৃহবধূকে গাড়িতে তুলে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বেহুঁশ করে নিয়ে যাওয়া হয় হুগলির বলাগড়ে। হুঁশ ফিরলে মহিলা চিত্কা র শুরু করেন। তাঁকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালায় চার দুষ্কৃতী। ওই গৃহবধূ বাগুইআটি থানা এলাকার অশ্বিনীনগরের বাসিন্দা।
অভিযোগকারিণীর দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা নাগাদ তিনি বাজারে দুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় চার যুবক তাঁকে অনুসরণ করে। বিপদ বুঝে তিনি বাগুইআটি সাবওয়ের কাছে চলে যান। এই সময় চার যুবক তাঁকে কিছু শুঁকিয়ে বেহুঁশ করে দেয় বলে অভিযোগ। তারপর গাড়িতে তুলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হুগলির বলাগড়ে। এই সময় মহিলার জ্ঞান ফিরে এলে চিত্কার শুরু করেন। মহিলাকে সেখানে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এরপর এক ব্যক্তির থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে স্বামীকে খবর দেন মহিলা। শুক্রবার বাগুইআটি থানায় মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাগুইআটি সাবওয়ে এলাকা ও বলাগড়ের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হবে। চেষ্টা হবে, গাড়ির নম্বর পাওয়ার। সেইসঙ্গে মহিলার বয়ানে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে তাও।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশ্যে রাস্তা থেকে গাড়িতে করে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। সিঁথি থানা এলাকার কালীচরণ বোস লেনে এই ঘটনা ঘটে। সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে হদিশ পাওয়া যায় অভিযুক্তদের। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থেকে গ্রেফতার হয় ৮ জন অভিযুক্ত। ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল ধৃতরা। এমনটাই দাবি ব্যবসায়ীর পরিবারের। ব্যবসায়ীর থেকে বকেয়া টাকা আদায়ের জন্যই অপহরণ বলে দাবি করে ধৃতরা।