Kolkata: কলকাতার ওষুধের দোকানে হানা, উদ্ধার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ-ট্যাবলেট
Banned Cough Syrup-Tablets Kolkata: নেশা করার জন্য ব্যবহৃত, নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ও ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে শহরের বেশ কিছু দোকানে, এমন খবর ছিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে।
হিন্দোল দে, কলকাতা: কলকাতার (Kolkata) এক ওষুধের (Medicine) দোকান ও গুদামে হানা দিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ (Cough Syrup) ও ট্যাবলেট। দোকান মালিক সহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর।
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে, বাংলাদেশে (Bangladesh) তৈরির ও মেয়াদ ফুরনোর তারিখ বিহীন ওষুধ দেওয়া নিয়ে তোলপাড়। এই প্রেক্ষিতেই শহরে নিষিদ্ধ ওষুধের কারবারের পর্দাফাঁস। নির্দিষ্ট দোকান ও গুদামে হানা দিলেন রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের অফিসাররা। সূত্রের দাবি, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ও ট্যাবলেট। নেশা করার জন্য ব্যবহৃত, নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ও ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে শহরের বেশ কিছু দোকানে, এমন খবর ছিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে।
ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসাররা বুধবার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিছনে হাড্ডিবাগানে একটি ওষুধের দোকান ও গুদামে হানা দেন। ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে দাবি, বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই দোকান থেকে। পরে দোকান ও গুদামটি সিল করে দেন ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসাররা। আটক করা হয় দোকান মালিক সহ কয়েকজনকে।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশ সরকারের ওষুধ মিলছে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে, কিন্তু কীভাবে?
ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, কোথা থেকে এই সব নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ও ট্যাবলেট আনা হত? কারা তা কিনতেন? এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ (Antibiotic) মিলছে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের (Contai Sub Division Hospital) বহির্বিভাগে। সেখানে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। অভিযোগ উঠেছে এমনটাই। 'সেফ্রাডিন-৫০০' নামে একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বহির্বিভাগ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অথচ এই ওষুধ বাংলাদেশের। এবং সেই ওষুধের গায়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফে 'ক্রয়-বিক্রয় করা নিষিদ্ধ' বলে উল্লেখ করা রয়েছে। ওষুধের গায়ে পরিষ্কার লেখা, 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ। ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়।'
তাহলে এমন ওষুধ কাঁথিতে এসে পৌঁছল কীভাবে? এই রাজ্যে রোগীদের হাতে কীভাবে সেই ওষুধ গিয়ে পৌঁছল? এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চিকিৎসক মহলে। বিষয়টি জানাজানি হতেই তদন্তের নির্দেশ দিল নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা দফতর।