Bio Gas in Kolkata : ধাপায় জমে থাকা জঞ্জাল থেকে বায়ো গ্যাস তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা
সিএনজি প্লান্ট তৈরিতে খরচ হয়েছে ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। আপাতত দৈনিক ৫ টন বর্জ্য ব্যবহার করে ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি বায়ো গ্যাস তৈরি করা হচ্ছে।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : ধাপায় জমে থাকা জঞ্জাল থেকে এবার বায়ো গ্যাস তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্লান্টের উদ্বোধন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim)। আপাতত দৈনিক দেড়শো থেকে ১৬০ কেজি বায়ো গ্যাস তৈরি হচ্ছে।
বিকল্প পথের খোঁজ
পচা ফল, আনাজ, মাছ-মাংস থেকেই তৈরি হচ্ছে বায়ো গ্যাস। ধাপায় সেই সিএনজি প্লান্ট (CNG Plant) চালু করল কলকাতা পুরসভা। সোমবার তার উদ্বোধন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা (Kolkata) থেকে দৈনিক প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য জমা হয় ধাপার মাঠে। তার মধ্যে ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন জৈব বর্জ্য। ৫০০ মেট্রিক টন জঞ্জাল থেকে সার তৈরি করা হয়। বাকি জঞ্জাল থেকে যাতে দূষণ না ছড়ায়, সেজন্য বহুদিন ধরেই বিকল্প পথের খোঁজ চলছিল। এই প্রেক্ষাপটে এবার জৈব বর্জ্য থেকে বায়ো গ্যাস তৈরির প্লান্ট চালু হল।
পুরসভার গাড়ি চালাতে বায়ো গ্যাস
সিএনজি প্লান্ট তৈরিতে খরচ হয়েছে ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। আপাতত দৈনিক ৫ টন বর্জ্য ব্যবহার করে ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি বায়ো গ্যাস তৈরি করা হচ্ছে। উত্পাদিত বায়ো গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে পুরসভার গাড়ি চালানোর কাজে।
ডেঙ্গি সংক্রমণ ঘিরে উদ্বেগ
পুজোর মুখে ডেঙ্গি সংক্রমণ (Dengue Scare) ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পুজোর (Durga Puja 2022) সময় প্যান্ডেলগুলিতে লাগাতার মশা মারার স্প্রে ব্যবহার (Use of Spray) করার নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এদিকে, পুরসভা সংলগ্ন ওয়ার্ডগুলিতেও বাড়ছে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ।
মৃত্যু, উদ্বেগ, আতঙ্ক, এবার করোনা নয়, কেন্দ্রবিন্দুতে ডেঙ্গি। গত ২ বছর পুজোর আনন্দ অনেকটাই মাটি করেছিল করোনা সংক্রমণ (Corona)। এবার সেই মেঘ অনেকাংশেই ঘুঁচলেও, পুজোর মুখে ডেঙ্গি সংক্রমণ ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'ডেঙ্গু কিছুটা উদ্বেগজনক। কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষ ছাদে উঠে কোথায় জল জমা আছে কি না, সেটা দেখে নেয়। এরা দিনের বেলা জন্মায়। তবে সিঙ্গাপুর, ব্যাঙ্কক, সাউথ আফ্রিকার থেকে পরস্থিতি ভাল'।
আরও পড়ুন- বাড়ছে উদ্বেগ, উপসর্গ বদলাচ্ছে ডেঙ্গি, দেখা দিচ্ছে কী কী নতুন সমস্যা ?