Kolkata News: সোনার নেকলেস থেকে হিরের আংটি, প্রায় ৮ লক্ষ টাকার গয়না উধাও ব্যাঙ্কের লকার থেকে
Kolkata Bank Missing Case: প্রায় ৮ লক্ষ টাকার গয়না উধাও হয়ে গেছে শহরের বেসরকারি ব্যাঙ্কের লকার থেকে। কী বলছেন অভিযোগকারী ?
পার্থপ্রতিম ঘোষ,কলকাতা: সোনার নেকলেস, হিরের আংটি থেকে শুরু করে অ্যান্টিক হেয়ার পিন (Missing Case)। প্রায় ৮ লক্ষ টাকার গয়না উধাও হয়ে গেছে বেসরকারি ব্যাঙ্কের লকার থেকে। এমনই অভিযোগ তুলে মানিকতলা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন কাঁকুড়গাছির এক বাসিন্দা। ব্য়াঙ্কের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখছে মানিকতলা থানা ও লালবাজারের ডাকাতি দমন শাখা।
ব্যাঙ্কের লকার থেকে উধাও ৮ লক্ষ টাকার গয়না
ব্যাঙ্কের লকার থেকে উধাও ৮ লক্ষ টাকার গয়না। কাঁকুড়গাছির বেসরকারি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা জয়া মাথুর। মহিলার দাবি,২০২২-এর ১৫ ডিসেম্বর ওই ব্যাঙ্কে একটি লকার নেন তিনি। ২২ ডিসেম্বর লকারে মেয়ের বিয়ের সমস্ত গয়না রেখে আসেন। গত ২৩ জুন লকার খুলতেই সন্দেহ হয় তাঁর। খতিয়ে দেখে বুঝতে পারেন খোয়া গেছে বেশ কিছু গয়না। এরপরই মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
'আমাকে বসিয়ে রেখে চাবি নিয়ে গিয়েছিল..'
মহিলার দাবি, সোনার নেকলেস, হিরের আংটি, সোনার চিরুনি, একটি অ্য়ান্টিক হেয়ার পিন ও আংটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এনিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। অভিযোগকারী বলেন, 'আমি যেদিন গয়না রাখতে যাই, লকার খুলছিল না। আমাকে বসিয়ে রেখে চাবি নিয়ে গিয়েছিল। অনেক্ষণ পর এনে দেয়। কেউ মনে হয় ডুব্লিকেট করেছিল।'
ব্য়াঙ্কের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ
বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। কোনও বক্তব্য থাকলে পরে জানানো হবে। সম্পত্তি যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেই কারণে ব্যাঙ্কের ওপরই ভরসা করেন গ্রাহকরা। সেই ব্যাঙ্কের লকার থেকেই গয়না উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ব্য়াঙ্কের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখছে মানিকতলা থানা ও লালবাজারের ডাকাতি দমন শাখা।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কে চুরি বা গয়না উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথমবার নয়, তবে এই মুহূর্তে এই ঘটনা গুলির পাশাপাশি রাজ্যে অনলাইন প্রতারণার ঘটনাও কম নয়। একের পর এক অ্যাকাউন্ট থেকে মুহূর্তেই টাকা হাপিস হওয়ার ঘটনা ভুরিভুরি চলতি বছরেও প্রকাশ্য়ে এসেছে। তবে এনিয়ে বারবার সতর্ক করেছে কলকাতা পুলিশ। যেকোনও উড়ো ফোন বা মেসেজ না পড়ে না শুনে একেবারে বিশ্বাস যেনও কেউ না করে, ব্যাঙ্কে গিয়েই যেন ব্যাঙ্কের কাজ মেটানো হয়, এই দাবি রয়েছে গ্রাহকদের জন্য ব্যাঙ্কের তরফেও।