Firhad Hakim: ‘এটা খেলার জায়গা নয়’, রাস্তা মেরামতিতে ঢিলেমি নিয়ে পৌরসভা আধিকারিকদের ভর্ৎসনা ফিরহাদের
Kolkata Municipal Corporation: কলকাতা পৌরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশ ১৫০-এর বেশি খারাপ রাস্তার তালিকা দিয়েছিল।
অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: পুজো আসতে বাকি নেই একমাসও (Durga Puja 2022)। তার আগে শহরের সব রাস্তা ঝাঁ চকচকে দেখতে চায় কলকাতা পৌরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। সেই মতো একাধিক জায়গায় মেরামতির কাজ শুরু হলেও, ধীর গতি নিয়ে পৌরসভার আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মেরামতি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ শেষ করে বেঁধে দিলেন ডেডলাইনও।
পৌরসভার আধিকারিকদের ভর্ৎসনা ফিরহাদের
উৎসব শুরু বলে আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে দুর্গাপুজো আসতে এখনও কয়েক দিন বাকি। তার আগে শহরের বেশ কিছু রাস্তা এখনও খানাখন্দে ভরা। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ফিরহাদ। কলকাতা পৌরসভার সড়ক বিভাগ ও কেএমডিএ-কে ভর্ৎসনা করে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘এটা খেলার জায়গা নয়!’’
কলকাতা পৌরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশ ১৫০-এর বেশি খারাপ রাস্তার তালিকা দিয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে নোনাডাঙা রোড,আনন্দপুর রোড,ফর্টিস হাসপাতালের সামনের রাস্তা, ডায়মন্ডহারবার রোড, তারাতলা রোড এবং সন্তোষপুর মেইন রোড-সহ একাধিক জায়গা।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari : শুভেন্দুর মিছিলে পাথর ছোড়ার অভিযোগ, কালো পতাকা, বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার তারকেশ্বরে
কিন্তু সেই সব রাস্তার বেশিরভাগ এখনও মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে এ দিনের বৈঠকে মেয়র ফিরহাদের কাছে নিজের এলাকার একাধিক খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ করেন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ।
তাতেই কলকাতা পুলিশের দেওয়া তালিকার কোন কোন রাস্তা সংস্কার হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট চান ফিরহাদ। বাকি সব রাস্তা ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেরামতের নির্দেশ দেন তিনি।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘এ দিন পুরসভার উদ্যোগে সব বিভাগকে নিয়ে সমন্বয় বৈঠক হয়েছে। পুলিশ ১৫০-র বেশি খারাপ রাস্তার তালিকা দিয়েছে। পুজোর আগে সব রাস্তা ঠিক করতে হবে।’’
রাস্তা মেরামতির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ
কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা ছ’টি রাস্তা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি কলকাতা বন্দর এলাকায় দুর্ঘটনায় মেয়র পারিষদ রাম পেয়ারি রামের ছেলের মৃত্যুও হয়। এ দিনের বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দেন, রাস্তা মজবুত করে তৈরি করতে হবে। দু' পাশে রাখতে হবে খোলা ড্রেন। কারণ, বৃষ্টির জল জমে থাকলে রাস্তা টেকসই হচ্ছে না।