Kolkata News: 'নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচার', আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল
BJP Central Delegation in WB: নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ, আহত দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করবে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
কলকাতা: রাজ্যে এল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (BJP Central Delegation in WB)। নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ, রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দলীয় নেতাদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। তাই আহত দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করবে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তাল হয় গঙ্গার দুই পাড়, কলকাতা-হাওড়া। সেখানে খণ্ডযুদ্ধে জড়ান পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়েন বিজেপি কর্মীরা বলে অভিযোগ। এই অশান্তির মাঝেই এমজি রোডে মাথা ফাটে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের (Meena Devi Purohit)। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে ইতিমধ্যেই দেখতে গিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুধু মীনাদেবীই নয়, বিজেপি অভিযানে আহত অসংখ্য। জখম হন পুলিশ অফিসারও।
এদিকে নবান্ন অভিযানের দিন আটক ইস্যুতে শুভেন্দু বলেন, 'ওনাকে পুরুষ পুলিশ মেরেছে, আর আমার কাছে মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছে। টি শার্ট জিন্স পরে একদম জগিং করতে করতে চলে এসেছে।' ঘটনার দিন শুভেন্দুি বলেন, 'আপনার লেডি অফিসার আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ও কেন আমার গায়ে কেন হাত ধরবে! ছবিগুলো থাকল।' তাঁকে গ্রেফতার করা হোক, দাবি তোলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা, বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এখানেই শেষ নয়, এক মহিলা পুলিশ অফিসার এসে তাঁকে পিছু হটতে বলতেই ক্ষোভ উগরে দেন। মহিলা পুলিশ কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, প্রশ্ন তোলেন। শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, 'আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।' ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক বলতে থাকেন, 'আমি স্পর্শ করছি না। আপনি চলুন।'
আরও পড়ুন,পুজোর পরে রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ
অপরদিকে, বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগকাণ্ডে একাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়। যে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগায়, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে, বলে দাবি গোয়েন্দাবিভাগের। লালবাজারের তরফে তাঁর ছবিও প্রকাশ করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট -সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।