Anubrata Mondal: মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি, অনুব্রত কন্যাকে ফোন ইডির
Cow Smuggling Case: গরুপাচারের কালো টাকার সন্ধানে চাপ বাড়াচ্ছে ইডি। এবার অনুব্রত কন্যাকে কাছে ফোন গেল ইডির।
কলকাতা: গরুপাচারের (Cow Smuggling Case) কালো টাকার সন্ধানে চাপ বাড়াচ্ছে ইডি (ED)। এবার অনুব্রত কন্যাকে কাছে ফোন গেল ইডির। সূত্র মারফৎ খবর, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা, হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ফোন করেছে ইডি।
অনুব্রত কন্যাকে ফোন ইডির: মূলত আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে তলবের কথা জানিয়ে তৈরি থাকতে নির্দেশ। দিল্লি আসার একদিন আগে ফোন করে জানানো হবে, বলে জানিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, কী কী প্রশ্ন সুকন্যা, মণীশ কোঠারিকে? পাশাপাশি গরুপাচারের টাকাতেই কী একের পর এক সম্পত্তি, রাইস মিল, ব্যাঙ্কে অগাধ ব্যালেন্স ? প্রশ্ন তৈরি করে আগেই জেরা অনুব্রতকে। বাংলা জানেন এমন একজনকে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রতকে দফায় দফায় জেরা ইডির।
১১ দিনের হেফাজত, ১২ জনকে দিল্লি তলব। রাজধানীতে কি এবার মুখোমুখি জেরা বাবা-মেয়েকে? গরু পাচারকাণ্ডে এবার সেই পথেই এগোচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৩ দিনের হেফাজত শেষে এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করে ইডি। আদালতে ঢোকার পর এজলাসে পিছনের দিকে বসেন অনুব্রত। শুনানির শুরুতে অনুব্রতকে ১১ দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন ইডি-র আইনজীবী। বিরোধিতা করে অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, তিন দিনের হেফাজতে তো কোনও কিছুই বেরোয়নি। মাত্র ২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে।
ইডি-র আইনজীবী তখন বলেন, অনুব্রতকে যাতে দিল্লি না আনা যায়, বা ইডি যাতে হেফাজতে নিতে না পারে তার জন্য অযথা সময় নস্ট করেছেন তিনি। ভাষা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় হোলির দিন জেরা করা যায়নি। উনি হিন্দি বা ইংরেজি জানেন না। বাংলাতেও লিখতে পারছেন না। একদিন মাত্র জেরা করা সম্ভব হয়েছে। সেখান থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আরও কিছু তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাঁকে জেরা করতে হবে। একজন ট্রান্সলেটর ও বাংলা লেখক জোগাড় করা হয়েছে। অনুব্রতর মেয়ে আগে জানিয়েছেন, সব লেনদেনের কথা বাবা এবং হিসেবরক্ষক জানেন, তাঁরাই বলতে পারবেন। অন্যদিকে অনুব্রত বলছেন, তাঁর কিছু মনে পড়ছে না। তাই অনুব্রতর মেয়ে, হিসেব রক্ষক সহ আরও ১২ জনকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১১ দিনে তাঁদেরকে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে, বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির ২০ কোটি টাকা নগদ ব্য়াঙ্ক ডিপোজিটের দিকে নজর কেন্দ্রীয় সংস্থার। ED সূত্রে দাবি,অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের সদস্য়দের বিভিন্ন অ্য়াকাউন্টে, বিভিন্ন সময়ে মোট ২০ কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছিল। ২০১৬ থেকে ২০২০, এই ৫ বছরে বোলপুর এবং তার আশপাশের ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে ২০ কোটি নগদ টাকা। ED সূত্রে দাবি, সুব্রত বিশ্বাস নামে প্রাক্তন এক ব্য়াঙ্ককর্মী বয়ান দিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে অনুব্রত মণ্ডল, বাড়িতে ডেকে বা চালকের হাত দিয়ে টাকা পাঠাতেন। প্রায় ৬ কোটি টাকা নগদ পাঠিয়ে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলা হয়েছিল। ED সূত্রে খবর, এর মধ্যে রয়েছে একাধিক রাইস মিল ও বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানির অ্যাকাউন্টও। জমা টাকার মধ্যে ৩ কোটি টাকা সুকন্যার নামে এফডি করা হয়েছে বলে ED সূত্রে দাবি। এই ২০ কোটি নগদ টাকা কোথা থেকে এল? এগুলো কি গরুপাচারের টাকা? তারই উত্তর খুঁজছে ED।
আরও পড়ুন: Soma Chakraborty: 'যেভাবেই হোক এবার টাকাটা ফেরত দেব,' এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানালেন সোমা চক্রবর্তী