Santanu Sen: 'নিজের জেলায় কতজনকে চাকরি দেবেন বলে টাকা নিয়েছিলেন ?', শুভেন্দুর পাল্টা শান্তনু
Santanu Sen Attacks Suvendu on Recruitment Scam: সরস্বতী পুজোর দিনে শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে শুভেন্দুর পাল্টা প্রতিক্রিয়া শান্তনু সেন।
কলকাতা: সরস্বতী পুজোর দিনে শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে শুভেন্দুর পাল্টা প্রতিক্রিয়া শান্তনু সেন। মূলত এদিন সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja 2023) দিন নন্দীগ্রামে (Nandigram) সরস্বতী পুজোয় যোগ দিয়ে শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতি (Reqruitment Scam) নিয়ে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
এদিন শান্তনু সেন বলেন, 'যিনি বলছেন, তাঁকে একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করতে বলুন, তিনি আদৌ সঠিকভাবে ভোটে জিতেছেন কিনা, তাকে নিজেকে প্রশ্ন করতে বলুন, তার জেলায় কতজনকে চাকরি দেবেন বলে টাকা নিয়েছিলেন, তাঁর জেলায় কী কী দুর্নীতি করেছেন, সেটা তাঁকে নিজেকে একবার প্রশ্ন করতে বলুন। ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি ২০২০ এর মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে বিজেপি কীভাবে তছনছ করে দিয়েছে ? কী তাঁরা শিক্ষাকে রাজনীতি করতে গিয়ে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে তাঁরা ভুলিয়ে দিচ্ছে।' মূলত এদিন নন্দীগ্রামে সরস্বতী পুজোয় যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'কে আসল আর কে ভুয়ো শিক্ষক আজ চেনা যায় না, গোটা শিক্ষা দফতর জেলের ভিতরে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পায় এই রাজ্যে। যাঁরা যোগ্য তাঁরা বঞ্চিত হয়, চাকরি বিক্রি হয়। বিজেপি এই দুর্নীতি ব্লিচিং, ফিনাইল দিয়ে পরিষ্কার করে দেবে'।
সম্প্রতি বিজেপির বৈঠকের আগে রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যদিও সেদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে প্রশ্ন করা হলে উত্তর এলেও, এড়িয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ। অনেকটা ওই যে, ওই যে, ওই যে, ওদিকে... বলে আঙুল দিয়ে শুভেন্দুর দিকে সাংবাদিককে প্রশ্ন করতে ইশারা করলেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি কেন চুপ থাকলেন, কেনই বা এড়িয়ে গেলেন ? ! প্রশ্নগুলি ঘোরাফেরা করলেও, যবনিকা টানলেন শুভেন্দু অধিকারী।শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'পার্টির সিস্টেম অনুযায়ী, জাতীয় কর্মসূচির পরে সব রাজ্যে হয়। স্বাভাবিকভাবে এটা সাংগাঠনিক ওয়ার্মআপ বলতে পারেন। তাতে শুধু পঞ্চায়েত কেন আগামী আসন্ন যে সকল বিষয় রয়েছে, পুরোটাই আলোচনা হবে। এবং সবথেকে বড় কথা নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক দুর্নীতি, এটাও আমাদের আলোচনায় থাকবে। আরও কীকরে জোরদার গণ আন্দোলন করা যায় ! কারণ পশ্চিমবাংলায় শিল্প নেই, চাকরি নেই, ৭০ হাজার কর্মসংস্থান বিক্রি করা হয়েছে।'
অপরদিকে সেদিন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, 'এই বৈঠকের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু যেহেতু পঞ্চায়েত ভোট সামনে আছে, সেহেতু পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও আলোচনা হবে। পঞ্চায়েত ভোট আলোচনার বিষয়, কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটই মুখ্য বিষয় নয়।' তবে এদিন সুকান্ত এবং শুভেন্দু মুখ খুললেও এড়িয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার বিজেপির দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবেও কথা চালাচালি হয়েছে। দলের অন্যতম প্রবীণ কর্মী হয়েও, বৈঠকের আগে তবে কি সেই কারণেই নিজেকে ব্রাত্য রাখলেন দিলীপ ঘোষ ? প্রসঙ্গত, গতবছর এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট সিবিআইয়ের। এসএসসির গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগে বিস্তর কারচুপি, আদালতে রিপোর্ট সিবিআইয়ের। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগে বিস্তর কারচুপি, আদালতে রিপোর্ট সিবিআইয়ের। তিনটি হার্ডডিস্ক ও কমিশনের ডেটাবেসে বিস্তর কারচুপির প্রমাণ মিলেছে, দাবি সিবিআইয়ের।