Subiresh Arrested: 'সুকান্তবাবু কি গোয়েন্দা ?' সুবীরেশ গ্রেফতারে 'নথি' জ্বালানোর ইস্যুতে বিস্ফোরক শান্তনু সেন
Santanu on Sukanta Subiresh: সুবীরেশ গ্রেফতার হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে 'নথি জ্বালানোর' ইস্যু তুলে সুকান্ত-র টুইট ভিডিও প্রকাশ্য আসতেই বিস্ফোরক শান্তনু সেন।
কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) গতকাল এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattcharya) গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI) । এদিকে তারই মধ্যেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে 'নথি জ্বালানোর' ইস্যু তুলে টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ইতিমধ্যেই যা ঘিরে বিতর্কে তুঙ্গে। আর এই ইস্যুতেই এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন, বামনেতা সুজন চক্রবর্তী (Santanu Sen and Sujan Chakraborty)।
সুকান্তবাবু কি ইনভেস্টিগেটিভ অফিসার হয়ে গেছেন ? শান্তনু সেন
এদিন শান্তনু সেন বলেন, সুকান্তবাবু কি ইনভেস্টিগেটিভ অফিসার হয়ে গেছেন কিনা আমি জানি না। তিনি ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সিকে এতদিন প্রভাবিত করতেন বলতে জানতাম। কিন্তু তিনি ইনভেস্টিগেটিভ অফিসার হয়ে গেছেন কিনা কিংবা ফরেন্সিক এক্সপার্ট হয়ে গিয়েছেন কিনা, সেটা আমার জানা নেই। আসলে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। কেন্দ্রীয় দলের সিদ্ধান্তে তিনি এখানে রাজ্য সভাপতি হয়ে বসে আছেন। এদিকে একটা বিরাট অংশ তাঁকে রাজ্য সভাপতি হিসেবে মেনে নিচ্ছে না। উনি যখন মুর্শিদাবাদে মিছিল করতে যাচ্ছেন, তার দলের বিধায়করাই সঙ্গে থাকছেন না। উনি যখন কোথায় সভা করছেন, অর্ধেক লোক যাচ্ছে, অর্ধেক লোক যাচ্ছেন না। তারা জানে যে, তাঁরা ক্রমশ মানুষের থেকে প্রতারিত হচ্ছেন। তাই এই ধরণের বিভ্রান্তকর মন্তব্য করে রাজনীতিতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন।' পাশাপাশি সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'এটা একটা কলঙ্কিত অধ্যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, তাঁকে..পদ খারিজ হল। শিক্ষা দুর্নীতির অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হলেন। এটা বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে কলঙ্কের সামিল। এবার দেখা যাচ্ছে যে, নথি পোড়ানো হচ্ছে। কীসের নথি, কেন নথি', প্রশ্ন তোলেন বর্ষীয়ান বামনেতা।
আরও পড়ুন, আনিস খুনের বিচারের দাবিতে আজ ধর্মতলায় লাল-মিছিল
মূলত, এদিন সুকান্ত টুইটারে বলেন, 'উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যক্তিকে। এই নথি জ্বালানোর উদ্দেশ্য কী কীসের তথ্য গোপন করতে কী কী নথি জ্বালিয়ে ফেলা হল উপস্থিত ব্যাক্তিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া উপাচার্যও নেই তো? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়। ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।' পাশাপাশি টুইটারে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল সরকারের হাতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এত লজ্জা বাঙালি রাখবে কোথায় ?' উল্লেখ্য গতকাল গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কারণ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় , শান্তিপ্রসাদ, অশোক সাহা। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গ্রেফতার। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। আর এমনই একমুহূর্তে সুকান্ত-র শেয়ার করা ভিডিও ঘিরে বিতর্কের ঝড় রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই সরব বাম-বিজেপি। গতকাল এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আর তার পরপরেই নিশানা দিলীপ সুকান্তদের।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যাক্তিকে। এই নথি জ্বালানোর উদ্দেশ্য কি? কিসের তথ্য গোপন করতে কি কি নথি জ্বালিয়ে ফেলা হলো?উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া উপাচার্যও নেই তো, প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়।ঘটনার তদন্ত দাবী করছি। pic.twitter.com/2zZbtnimeZ
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) September 19, 2022