SSC Protest: 'আমরা মরেই গেছি, আর মরার ভয় নেই', চোখে জল নিয়েই আন্দোলনে সুর চড়ালেন চাকরিহারারা
SSC Jobseekers Agitation: পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় বিভাজনের কৌশল দেখছেন চাকরিহারা। কীভাবে থার্ডের পরে বাকিরা অবৈধ?

কলকাতা: সুপ্রিম নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের খবর আসতেই ভেঙে চুরমার হয়েছিল সব। এরপরও জারি ছিল লড়াই। চাল-কাঁকর আলাদা করার লড়াই। যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ের লড়াই। সুপ্রিম কোর্টে ফের আবেদন। এরই মধ্যে আজ যোগ্য চাকরিহারাদের তালিকা প্রকাশ করতে পারে স্কুল সার্ভিস কমিশন, এমনটা জানান হয়েছিল। গত ১১ এপ্রিল চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকের পর SSC-র তালিকা প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সোমবার ঘড়ির কাঁটা ৬টা পেরতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। সময় যত এগিয়েছে ততই বিক্ষোভের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন চাকরিহারারা।
এরই মধ্যে খবর আসে, থার্ড কাউন্সিল পর্যন্ত যোগ্য বলে ঘোষণা করা হতে পারে। এই দাবি ঘিরে এসএসসি ভবনে সামনে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। চাকরিহারাদের কথায়, 'সরকার সপ্তম কাউন্সেলিং পর্যন্ত বৈধ ঘোষণা করেছিল। সেই মোতাবেকই চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ কেন তা থার্ড কাউন্সেলিং বলা হচ্ছে?'
পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় বিভাজনের কৌশল দেখছেন চাকরিহারা। কীভাবে থার্ডের পরে বাকিরা অবৈধ? তবে কি এই কাউন্সেলিং নিয়েও কারচুপির কাজ চলছে? তাহলে শিক্ষামন্ত্রী-এসএসসির পদত্যাগ চাই। শুধু ই নয় সঠিক তালিকা প্রকাশিত না হলে চেয়ারম্যানকে আটকে রাখার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন চাকরিহারারা।
এমনকী তালিকা প্রকাশ না হলে সারারাত এসএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ চলবে বলেও জানিয়েছেন চাকরিহারারা। এবিপি আনন্দকে তারা জানিয়েছেন, 'যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না করলে আজ সারারাত আন্দোলন চলবে।'
সুপ্রিম নির্দেশে প্যানেল বাতিলের পর চাকরি চলে গেছে। অথৈ জলে হাজার হাজার পরিবার। আন্দোলনকারী চাকরিহারারা কটাক্ষ করে বলছেন, 'পরিবারকে খাওয়াতে হবে। চাকরি যদি না থাকে হলে চপ ভাজা খাওয়ারও পয়সা নেই। আমরা মরেই গেছি। আর মরার ভয় নেই'।
সোমবার সন্ধেয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে SSC যোগ্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ না করায়, ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কথা ছিল, সোমবার বিকেলে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সকাল থেকেই আচার্য সদনের সামনে ঝাঁঝ বাড়াতে থাকেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কেন সবার নাম যোগ্যতার নিরিখে থাকবে না? এই অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ। চাকরিহারারা স্পষ্ট অভিযোগ তুলেছেন, তাঁদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।






















