Paresh Adhikari Update: কলকাতা পৌঁছে সোজা নিজাম প্যালেস, প্রায় ৩ ঘণ্টা পরেশকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari) ও তাঁর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita dhikari) বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে CBI।
কলকাতা: এসএসসি (SSC) নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikari) সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআই। এদিন সন্ধেবেলা অবশেষে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। দেড়দিন উধাও থাকার পর খোঁজ মিলল পরেশের, বাগডোগরা (Bagdogra) থেকে এলেন কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport)। এরপর, সোজা নিজাম প্যালেসে গেলেন পরেশ।
FIR দায়ের: রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari) ও তাঁর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita dhikari) বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে CBI। FIR’এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও অদূশ্য শক্তিশালী হাত নিশ্চিতভাবে মেধা তালিকাকে অদলবদল করছে। না হলে, পরেশ চন্দ্র অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী তালিকায় স্থান পেতেন না বলে অভিযোগ।
‘পরেশ বাবু’র প্রত্যাবর্তন: অবশেষে ‘পরেশ বাবু’র প্রত্যাবর্তন। দেড় দিন বাদে। প্রথমবার কলকাতায় আসতে গিয়ে বর্ধমানেই নেমে পড়েছিলেন। ফিরে গেছিলেন কোচবিহারে। অবশেষে হাইকোর্টের হুঁশিয়ারির পর এলেন কলকাতায়। তবে তার আগেই SSC’র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করল CBI।
FIR’এর ১ নম্বরে নাম রয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। দু’নম্বরে নাম রয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতার। তিন নম্বরে রয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় সরকারি আধিকারিক ও অন্য ব্যক্তিদের নাম। FIR’ উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগ উঠছে, ২০১৬’র স্কুল সার্ভিস পরীক্ষায় অঙ্কিতা অধিকারী ৬১ পেয়েছিলেন এবং তিনি পার্সোনালিটি টেস্টে কোনও নম্বর পাননি।
কিন্তু অন্য প্রার্থী যাঁরা তাঁর (অঙ্কিতা অধিকারী) থেকে বেশি নম্বর পেয়েছিলেন এবং পার্সোনালিটি টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা চাকরি পাননি। আরও অভিযোগ উঠছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও অদৃশ্য শক্তিশালী হাত নিশ্চিতভাবে মেধা তালিকাকে অদলবদল করেছে। না হলে, পরেশ চন্দ্র অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী তালিকায় এক নম্বরে স্থান পেতেন না।
এই অভিযোগও উঠছে যে, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াতেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২ মে সেই পরীক্ষার ফল বেরোয়। অভিযোগ, প্রথম মেধাতালিকায় পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নামই ছিল না কিন্তু, নতুন মেধাতালিকায় তাঁর নাম এক নম্বরে চলে আসে।
এর ফলে ববিতা সরকারের থেকে কম নম্বর পেয়েও, তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা চাকরি পেয়ে যান বলে অভিযোগ। SSC’র তালিকায় এই পরিবর্তনের মাঝে রাজ্য রাজনীতিতেও একটা পরিবর্তন ঘটে যায়। ২০১৮ সালের ১৭ অগাস্ট ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। সে বছরই ২৪ নভেম্বর স্কুল শিক্ষিকার চাকরিতে যোগ দেন তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।
এই মামলায় পরেশ অধিকারীকে CBI’এর কাছে হাজিরার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের পরও নির্ধারিত সময় CBI’র অফিসে হাজিরা দেননি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। FIR দায়েরের পর, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কলকাতায় এসে সিবিআই দফতরে যান পরেশ অধিকারী। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।