Park Street Shootout: বাবার মৃত্যুতে ছুটির আর্জি বাতিল, ডিউটি নিয়েও ক্ষোভ ছিল ঘাতকের! পার্ক স্ট্রিট শ্যুটআউটের নেপথ্যে নয়া তথ্য
Kolkata News: নিহতের সঙ্গে ঘাতক জওয়ানের দ্বন্দ্ব ছিল বলেও খবর।
কলকাতা: ছুটি বাতিল হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন, সেই ক্ষোভ থেকেই কি এলোপাথাড়ি গুলি সিআইএসএফ-এর (CISF) ঘাতক জওয়ানের! ভরসন্ধেয় পার্ক স্ট্রিটের জাদুঘরে (Park Street Shootout) সিআইএসএফ-এর ব্যারাকে ঘটে যাওয়ায় শ্যুটআউট ঘিরে উঠে আসছে এমনই তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাতক জওয়ানের নাম অক্ষয় কুমার মিশ্র। হেড কনস্টেবল তিনি। ওড়িশার ঢেঙ্কানলের বাসিন্দা। তাঁর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এএসআই রঞ্জিত কুমার সারেঙ্গির। ছুটির আবেদন মঞ্জুর না হওয়া এবং ডিউডি বণ্টন নিয়ে দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল বলে সূত্রের খবর।
একাধিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ঘাতক জওয়ানের বাবা তিন দিন আগে মারা যান। তার জন্য ছুটির আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল তাঁর মনে। নিহত এএসআই রঞ্জিতও ওড়িশার বাসিন্দা, তিনি আবার আইবি-র আধিকারিক। ঘাতকের ছুটি বাতিলের সঙ্গে তাঁর সংযোগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর কোনও রিপোর্টের ভিত্তিতেই ঘাতকের ছুটি বাতিল হয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে সূত্রের খবর। নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই ঘাতক এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে।
শনিবার ভর সন্ধেয় জাদুঘরে সিআইএসএফ-এর ব্যারাকে আচমকা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন ঘাতক ওই জওয়ান। পুলিশের একটি গাড়িও তাঁর ছোড়া গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়। এর পর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে কলকাতা পুলিশ এবং সিআইএসএফ-এর সশস্ত্র বাহিনী জাদুঘরের ব্যারাকে জড়ো হতে শুরু করে। প্রায় দেড় ঘণ্টার অভিযানের পর ওই ঘাতক জওয়ানকে পাকড়াও করা সম্ভব হয়।
সিআইএসএফ সূত্রে খবর, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ব্য়ারাকের ভিতরেই ছিলেন ঘাতক জওয়ান। মাইকিং করে প্রথমে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় তাঁকে। তার পাল্টা অস্ত্রশস্ত্র বাইের রেখে পুলিশকে ভিতরে ঢুকে আসতে আর্জি জানান ঘাতক জওয়ান। সেই নিয়ে কার্যত স্নায়ুযুদ্ধ চলে। নিরস্ত্র অবস্থাতেই কয়েক জন অফিসার ভিতরে ঢোকেন। বাইরে বাড়ানো হয় ব্যাকআপ ফোর্স। রীতিমতো কাউন্সেলিং করে তার পর ঘাতক জওয়ানকে পাকড়াও করে পুলিশ এবং সিআইএসএফ বাহিনী। জাদুঘর থেকে বার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়িতেও ঘাতক জওয়ানকে নির্লিপ্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। এমনকি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে হাতও নাড়েন তিনি।
এ দিন অপারেশনের সময় ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। অপারেশন শেষ হওয়ার পর তিনি জানান, কমপক্ষে ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে। কিছু সমস্যার কথা জানা গিয়েছে। তাঁরা সবদিক খতিয়ে দেখছেন। তবে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে জাদুঘরের ব্যারাকে মোতায়েন সিআইএসএফ-এর কর্মীরা। নিজেদের নিরাপত্তা তো বটেই, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন তাঁরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস চান তাঁরা।