Gold Shop Advisory : সেনকো গোল্ডে ভয়াবহ ডাকাতির পরে কলকাতার সোনার দোকানে মানতে হবে এই নিয়মগুলো, অ্যাডভাইজরি পুলিশের
গয়নার দোকানের জন্য বিশেষ অ্যাডভাইসরি জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতায় গয়নার দোকানগুলিতে সুরক্ষার স্বার্থে এবার এই নিয়মগুলি মানার পরামর্শ।
কলকাতা : একই দিনে দুই জেলায় একই সংস্থার শোরুমে পিঠোপিঠি সময়ে ভয়াবহ ডাকাতি! ভর দুপুরে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের শোরুমে ঢুকে অবাধ দুষ্কৃতী-তাণ্ডব! কোথাও প্রকাশ্য রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের শ্যুটআউট।
কোথাও আবার ডাকাতি করে বাইকে চড়ে বিনা বাধায় চম্পট। মঙ্গলবারের জোড়া ঘটনা সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে যেন সাধারণ মানুষের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ খাস পুরুলিয়া শহরে, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের শোরুমে ডাকাতদল চড়াও হয়। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার মধ্যে একই ঘটনা ঘটে রানাঘাটে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের চাবিগেট এলাকায় সেনকোর শোরুমে হানা দেয় ডাকাতের দল।
এই ঘটনার পর প্রশ্নের মুখে গয়নার দোকানগুলোর নিরাপত্তা। ভাবিত দোকানের মালিকরা। আতঙ্কে ক্রেতারাও। আধুনিক নিরাপত্তায় মোড়া গয়নার দোকানও তাহলে সুরক্ষিত নয় ? দিন দুপুরে ডাকাতি হয়ে যায় কোটি কোটি টাকার গয়না ! নদিয়া ও পুরুলিয়ায় গয়নার দোকানে ডাকাতির পর পুলিশ সতর্কবার্তা জারি করেছে রাজ্যের সব দোকানগুলিতেও।
গয়নার দোকানের জন্য বিশেষ অ্যাডভাইসরি জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতায় গয়নার দোকানগুলিতে সুরক্ষার স্বার্থে এবার এই নিয়মগুলি মানতেই হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে -
- 'দোকানের ভিতর ও বাইরে উচ্চমানের সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে'
- 'পৃথক কোনও জায়গায় সিসিটিভি ফুটেজ মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে'
- 'ক্লাউড স্টোরেজ বা অন্য কোথাও সিসিটিভি ফুটেজ স্টোর করে রাখতে হবে'
- 'প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে'
- 'গয়নার দোকানের ভিতর ও বাইরে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হবে'
- 'গয়নার দোকানে ঢোকার গেট বন্ধ রাখতে হবে'
- 'হেলমেট পরা বা মুখঢাকা কাউকে দোকানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না'
গয়নার দোকানের জন্য অ্যাডভাইসরি জারি করে কলকাতা পুলিশ এই নিয়মগুলি মানার নির্দেশ দিয়েছে। এই নতুন নিয়মগুলি নিরাপত্তাব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৪ মে ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় উঠে এসেছিল বিহার-গ্যাংয়ের হাত। রানাঘাটে সেনকোর শোরুমে ডাকাতির নেপথ্যেও কি সেই বিহার গ্যাং? পুলিশ সূত্রে খবর, রানাঘাটকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা। আর এই বিহার গ্যাংয়ের নেটওয়ার্ক কত গভীরে ছড়িয়ে, পুলিশের ফুটওয়ার্কেই তা স্পষ্ট। এদিকে রানাঘাটে ডাকাতির ধরন দেখে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে পুলিশের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এদিন রাজ্যে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, এক মাস আগে জব্বলপুরে একটি বাড়িতে প্রায় একই কায়দায় ডাকাতি হয়। সেই গ্যাংই রানাঘাটে লুঠপাট চালিয়েছে কিনা , তা খতিয়ে দেখতেই রানাঘাটে আসে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের টিম।