Ragging: বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে ছাত্রের ওপর লাগাতার নির্যাতন, একাধিক অভিযোগেও অধরা সমাধান
Ballyganj: অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করলেও, তেমন কোনও সক্রিয় পদক্ষেপ করেনি পুলিশ, দাবি অভিযোগকারী ছাত্রের।
সমীরণ পাল, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: যাদবপুর (Jadavpur), খড়গপুরের (Kharagpur) পর এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধীনস্থ বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ (Ballygunge Science College)। ছাত্রের ওপর লাগাতার নির্যাতনের অভিযোগ উঠল বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করলেও, তেমন কোনও সক্রিয় পদক্ষেপ করেনি পুলিশ, দাবি অভিযোগকারী ছাত্রের। মুখ খুললেন সদ্য প্রাক্তন এক পড়ুয়া। তাঁর দাবি, চার বছর ধরে লাগাতার তাঁর ওপর নির্যাতন হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যদিও, এই অভিযোগ মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।
শিউড়ে ওঠার মতো অভিযোগ: রাজ্য়ের আরও এক এলিট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, আরও এক ভয়ঙ্কর শিউড়ে ওঠার মতো অভিযোগ! একইসঙ্গে অভিযোগ সেই প্রাতিষ্ঠানিক নিষ্ক্রিয়তার! ১৬৬ বছর পুরনো মেধার উৎকর্ষ কেন্দ্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের বি-টেকের সদ্য পাস আউট পড়ুয়া বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁর দাবি, ৪ বছর ধরে লাগাতার অভিযোগ করেও কোনও সুবিচার পাননি তিনি। নাম জড়াল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতার!
সদ্য প্রাক্তন এই পড়ুয়ার দাবি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University Of Calcutta) কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, জাতীয় মানিবাধিকার কমিশন, জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশন, রাজ্যপালকে জানিয়েও কোনও সুবিচার পাননি।
বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের (Ballygunge Science College) অভিযোগকারী পড়ুয়া বিশ্বজিৎ হাজরা জানান, 'বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কয়েক চিঠি আমি কর্তৃপক্ষকে দিয়েছি। থানা FIR নেয়নি, লালবাজার ইন্টারফেয়ার করায় FIR। লঘু ধারা দেয়। জাতীয় মানিবাধিক কমিশনকে জানাই, ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউল কাস্টে জানাই, রাজ্যপালকে জানাই, ভিসিকে জানিয়েছি, এখনও সুরুহা করতে পারেনি। সুপার অভিযোগ নিতেন না, বলতেন এগুলো হবেই, কিছু করার নেই। বোর্ড অফ রেসিডেন্সিতে গেছি, বিরক্ত বোধ করত। বহিরাগতরা টাকা দিত, তাই হস্টেল কমিটি ওদের রাখত'।
বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের জুট অ্যান্ড ফাইবার টেকনোলজির সদ্য প্রাক্তন বিশ্বজিৎ হাজরা। বাড়ি বীরভূমের জয়দেবে। এখানে, বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের হস্টেলে থাকতেন। তাঁর অভিযোগ, গত ৪ বছর ধরে হস্টেলে নারকীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য় র্যাগিং-এর সরাসরি অভিযোগ ছিল না। ওই পড়ুয়া অত্য়াচারের অভিযোগ করেছিল। সেই অনুযায়ী মামলা রুজু করে তদন্ত হচ্ছে।