MahaKumbh 2025: কুম্ভমেলায় সন্তানের মৃত্যু, নিথর দেহ দেখে অজ্ঞান মা, সহায় হল ব্যাগে রাখা হ্যাম রেডিও-র ভিজিটিং কার্ড !
MahaKumbh Stampede Death 2025: কুম্ভমেলায় সন্তানের মৃত্যু, মায়ের শেষ ইচ্ছা একমাত্র ছেলেকে দেশের বাড়িতে নিয়ে দাহ করবেন। কিন্তু কীভাবে ? এগিয়ে এল হ্যাম রেডিওর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: গ্রামীণ ভারতের দারিদ্রের চরম মানচিত্র দেখিয়েছিল একসময় 'অভাগীর স্বর্গ'। তবে এই ঘটনাটা ঠিক তেমন নয়। তবে টাকাই যে শেষ কথা নয়। এই ঘটনা তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় এসে মৃত ব্যাঙ্গালোরের যুবক অন্তরীক্ষ। মায়ের শেষ ইচ্ছা একমাত্র ছেলেকে দেশের বাড়িতে নিয়ে দাহ করবেন। কিন্তু কীভাবে ? বহুবাধা পেরিয়ে সাহায্য হাত এগিয়ে দেয় হ্যাম রেডিওর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব।
একদিকে মহাকুম্ভে একের পর এক মৃত্যুতে সরব সারা দেশ। নেই সাহায্য, নেই কোনও ডেথ সার্টিফিকেট। সেই অবস্থায় প্রিয়জনের দেহ পাচ্ছেন পরিবারেরা। এই ঘটনার ক্ষেত্রে যদিও সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সহ ডেড সার্টিফিকেট মিলেছে। কিন্তু খারাপ পরিস্থিতি সাহায্যের হাত এগিয়ে দিয়েছে হ্যাম রেডিও। মূলত, মৃত যুবকের মা একজন হ্যাম রেডিও অপারেটর শুভা ভাসুকি। মৃত যুবকের মায়ের শেষ ইচ্ছা একমাত্র ছেলেকে দেশের বাড়ীতে নিয়ে দাহ করবেন। তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
আগামীকাল সকালে কুম্ভ মেলা থেকে একমাত্র ছেলের নিথর মৃত দেহ নিয়ে চোখের জল সম্বল করে বিশেষ বিমানে করে বাড়ি ফিরবেন । তিনদিন আগে ছেলেকে নিয়ে কর্নাটক থেকে পূর্ণভূমিতে এসেছিলেন শুভ্রা । সাথে অ্যাটাচি , ছোটো টাকার ব্যাগ আর ছেলের নিথর দেহ দেখে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন । উত্তরপ্রদেশের পুলিশের একটি দল, ওই ব্যাগ থেকে উদ্ধার করে হ্যাম রেডিও ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের একটি ভিজিটিং কার্ড ।
আরও পড়ুন, কোচবিহারের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে ডিজিটাল অ্যারেস্ট ! ফোনের সামনে বসিয়ে রাখা হয় টানা ৭২ ঘণ্টা..
হ্যাম রেডিওর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব তরফে জানানো হয়েছে, 'আজ সকালে ফোন আসে উত্তর প্রদেশের পুলিশের থেকে । ঐ মহিলা বা ঐ যুবক পরিচিত কিনা ? চিন্তা করতে করতেই, একটু পরেই দ্বিতীয় ফোন করে ব্যাঙ্গালোরের হ্যাম মঞ্জুনাথ। ঐ অবস্থার কথা বলে সাহায্য চান।আমরাও সাথে সাথেই শুরু করি সবরকমের ব্যবস্থা । মায়ের দেখভালের সাথে সাথেই অন্যান্য প্রক্রিয়া। অবশেষে সাফল্য। খুবই লজ্জা লাগছে এই বাংলার মানুষের জন্য কিছু করতে পারিনি । কারণ কেউই কিছু জানায়নি। জানলে হয়তো...। তবে গর্ব হচ্ছে এই দেখে যে, ভিন রাজ্যের এক প্রবীণ মহিলা বাংলার হ্যামদের কতটা ভরসা করতে পারেন যে, তার টাকার ব্যাগে রাখা আমাদের ঠিকানা। হয়তো তিনি ভেবে ছিলেন , যদি মেলায় হঠাৎ বিপদে পড়ি তখন হ্যাম-ই ভরসা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
