Mahestala Double Murder: লুঠের উদ্দেশ্যেই মহেশতলায় খুন ঠাকুমা ও নাতি, জেরায় মিলল মোটিভ
South 24 Parganas News: ঠাকুমাকে খুন হতে দেখে ফেলায়, রক্ষা পায়নি নাতিও। তবে গৃহশিক্ষক আসার সময় হয়ে যাওয়ায় শেষপর্যন্ত লুঠের সময় মেলেনি বলেই পুলিশের অনুমান।
হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আগেই গ্রেফতার হয়েছিল অভিযুক্ত। এবার মিলল মোটিভও। মহেশতলার জোড়া খুনে কিনারা প্রায় করে ফেলল পুলিশ। লুঠের উদ্দেশ্যেই মহেশতলায় খুন ঠাকুমা ও নাতি। জোড়া খুনের ঘটনায় ধৃতকে জেরা করে দাবি পুলিশের। শুক্রবার বাড়িতেই খুন হন মায়া মণ্ডল ও তাঁর ১২ বছরের নাতি। এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে ইউসুফ শেখ নামে একজনকে চিহ্নিত করা হয়। পুলিশের দাবি, মাসদুয়েক আগে মায়া মণ্ডলের বাড়িতে কাজ করেছিল ইউসুফ। এখন সে বেকার। পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে ইউসুফ জানত দুপুরে একাই থাকেন ওই মহিলা। পরিকল্পনা মতো শুক্রবার দুপুরে লুঠের উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢোকে সে। মহিলা বাধা দিলে তাঁকে খুন করে। ঠাকুমাকে খুন হতে দেখে ফেলায়, রক্ষা পায়নি নাতিও। তবে গৃহশিক্ষক আসার সময় হয়ে যাওয়ায় শেষপর্যন্ত লুঠের সময় মেলেনি বলেই পুলিশের অনুমান।
কী ঘটনা:
শুক্রবার বিকেলে মহেশতলার জিঞ্জিরাবাজারে ঘর থেকে উদ্ধার হয় বছর ৬৩-র মায়া মণ্ডল ও তাঁর বছর বারোর নাতি সনু মণ্ডলের রক্তাক্ত দেহ। পড়াতে এসে ঘরে জোড়া মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন গৃহশিক্ষক। রহস্যমৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে ঠাকুমা ও তাঁর ১২ বছরের নাতিকেও খুন করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের অনুমান ছিল, নেপথ্যে হাত রয়েছে পরিচিত কারও। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তে নামে পুলিশ।
তাতে দেখা যায়, শুক্রবার দুপুর ২টা বেজে ২২ মিনিট নাগাদ পরনে লুঙ্গি, মাথায় ছাতা দিয়ে মুখ ঢেকে বাড়িতে ঢুকছে এক ব্যক্তি। তারপরে দুপুর ২টা বেজে ৪৩ মিনিট নাগাদ সেই ব্যক্তিকেই বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়, তবে সেই সময় তার পরনে ছিল হাফপ্যান্ট। রবিবার ঠাকুরপুকুর থেকে ইউসুফ নামে ওই রাজমিস্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, মাসদুয়েক আগে মায়া মণ্ডলের বাড়িতে কাজ করেছিল ইউসুফ। এখন তার হাতে কোনও কাজ ছিল না। কাজ না থাকায় অভাব অনটন চলছিল। আগে কাজ করার সুবাদে ইউসুফ জানত দুপুরে একাই থাকেন ওই মহিলা। সেই মতো শুক্রবার দুপুরে লুঠের উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢোকে। সেই সময় মহিলা বাধা দিলে তাঁকে খুন করে। ঠাকুমাকে খুন হতে দেখে ফেলায়, রক্ষা পায়নি নাতিও। পুলিশ সূত্রের খবর, সরাসরি যোগাযোগ থাকলেও খুনের ঘটনায় কেউ তাঁকে ব্যবহার করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে রাতের ঘুমে সমস্যা? সমাধানে মেনে চলতে পারেন সহজ কয়েকটি নিয়ম