Malbazar Incident : সিভিকে 'না', মুখ্যমন্ত্রীকে স্থায়ী চাকরির আবেদন মালবাজারের মসিহা মহম্মদ মানিকের
Mamata Banerjee : মহম্মদ মানিক বলেছেন, 'পরিবারের দাবি সিভিক ভলান্টিয়ার নয়। কনস্টেবল টাইপের স্থায়ী চাকরি। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি।'
আশাবুল হোসেন, সনৎ ঝা, রাজা চট্টোপাধ্যায়, মালবাজার : মালবাজার বিপর্যয়ে (Malbazar Tragedy) উদ্ধারকারীদের পুরস্কৃত করল রাজ্য সরকার। ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হল সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরির প্রস্তাব। কেউ ফিরিয়ে দিলেন সেই প্রস্তাব। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ করলেন ২ উদ্ধারকারী।
উদ্ধারকারীদের পুরস্কার মঞ্চে বিতর্ক
দশমীর রাতে মাল নদীতে হড়পা বানে যখন খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছিল মানুষ, তখন এগিয়ে এসেছিলেন ওঁরা। কোনওকিছুকে আকড়ে ধরে যখন সকলে প্রাণ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছে, তখন নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারের ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহম্মদ মানিক, মনোজ, তারিফুল, বিশ্বজিতরা। মঙ্গলবার মালবাজার বিপর্যয়ে উদ্ধারকারীদের পুরস্কৃত করল রাজ্য সরকার। ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হল চাকরির প্রস্তাব। কিন্তু কেউ ফিরিয়ে দিলেন সেই প্রস্তাব। কেউ আবার অনুষ্ঠানে ডাক না পেয়ে তুললেন রাজনীতির অভিযোগ। এদিকে এদিনই বাড়ির কাছে সরকারি চাকরির অফার লেটার তুলে দেওয়া হয় মৃতদের পরিবারকে।
সিভিকে 'না' মানিকদের
উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে, জলপাইগুড়ির মাল আদর্শ বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন দশমীর রাতে মাল নদীতে হড়পা বানে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। ডাকা হয়েছিল, ঝুঁকি নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো মসীহাদের। রাজ্য সরকারের তরফে উদ্ধারকারীদের হাতে বিশেষ সংশাপত্র তুলে দেওয়া হয়। দশমীর রাতে হড়পা বানের মধ্যে সবাই যখন নিজের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া, তখন আরেক উদ্ধারকারী মহম্মদ মানিককে ঝাঁপাতে দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গেছিলেন! এদিন, তাঁর হাতেও ১ লক্ষ টাকা ও শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, মনোজ মুণ্ডার মতো খুশি হননি মানিকও। তাঁর দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি তিনি করবেন না, দিতে হবে স্থায়ী চাকরি।
মালবাজারের দুর্ঘটনার দিন কার্যত মসিহা হয়ে ওঠা মহম্মদ মানিক বলেছেন, 'পরিবারের দাবি সিভিক ভলান্টিয়ার নয়। কনস্টেবল টাইপের স্থায়ী চাকরি। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি।'
না ডাকে বিতর্ক
মহম্মদ মানিকের মতোই নদীতে ঝাঁপ দেন মেটলি ব্লকের শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি মহম্মদ তরিফুল ও তাঁর ভাগ্নে স্কুল পড়ুয়া মহম্মদ ফরিদুল। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে তাঁদের ডাকা হয়নি।