মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৎপরতা, মালদা-পূর্ব বর্ধমানসহ একাধিক জেলা থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র
অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অভিযান। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের পর, বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিজিৎ চৌধুরী ও কমলকৃষ্ণ দে: মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিতেই জেলায় জেলায় তৎপরতা বেড়েছে পুলিশের। মালদার (Malda) দুই জায়গা ও পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) মেমারিতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। তিন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে।
অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অভিযান। মালদার (Malda) ইংরেজবাজার (English Bazar) ও হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harishchandrapur) বাজেয়াপ্ত করা হল আগ্নেয়াস্ত্র। একই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতেও। রামপুরহাট (Rampurhat) হত্যাকাণ্ডের পর, বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগেই রামপুরহাটকাণ্ড প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যেখানে যত বোমা, বন্দুক, গুলি আছে, এক সপ্তাহের মধ্যে তা উদ্ধার করে নষ্ট করতে হবে।মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ পেয়েই জেলায় জেলায় অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের নানারাই ও ভালুকা-সোনাপুর এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত দু’জনের কাছ থেকে একটি করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দু’রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, যেহেতু কাছেই বিহার সীমানা, তাই দুষ্কৃতীদের বিহার-যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হরিশ্চন্দ্রপুরের পাশাপাশি শুক্রবার রাতেও ইংরেজবাজারের পাঁচ মাইল এলাকা থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ একজনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার রাতে পুলিশের অভিযান চলে
পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতেও। নদীপুর মোড় এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পুলিশের জালে ধরা পড়ে একজন। ধৃতের কাছ থেকে এক রাউন্ড গুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এদিকে, শনিবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বর্ধমান থানার পুলিশ কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে ৪টি বোমা উদ্ধার করেছে। বোমাগুলি একটি বাড়ির শৌচালয়ের ছাদে রাখা ছিল।
এই ঘটনায় বাড়ির মালিককে আটক করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, তাদের ফাঁসানো হয়েছে।