Malda: বি.টেক পাশেও মেলেনি পছন্দের চাকরি, চায়ের দোকান খুললেন মালদার ২ বন্ধু
Malda News Update: নতুন বছরের প্রথমদিনেই মালদা শহরে 'বি. টেক চাওয়ালা' দোকানের আত্মপ্রকাশ হল। যার মালিক শহরের ২ ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্র আলমগীর খান ও রাহুল আলি।
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: পড়াশুনা করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে..ছোটবেলায় বাড়ির বড়দের মুখ শোনা যেত এই কথাটি। কিন্তু গাড়ি ঘোড়ায় চড়তে গেলে তো চাকরি করতে হবে, অর্থ উপার্জন করতে হবে। কিন্তু চাকরি কোথায়? ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে পেট চালাতে তাই ওঁরা খুলে ফেললেন চায়ের দোকান। নতুন বছরের প্রথমদিনেই মালদা শহরে 'বি. টেক চায়ওয়ালা' দোকানের আত্মপ্রকাশ হল। যার মালিক শহরের ২ ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্র আলমগীর খান ও রাহুল আলি।
হাবড়ার এম এ ইংলিশ চায়ওয়ালি, পূর্ব বর্ধমানের এমবিএ চায়ওয়ালার পর এবার বি টেক চায়ওয়ালা। মালদা শহরের স্টেশন রোডে ভাড়া নিয়ে দোকান খুলেছেন তাঁরা। কালিয়াচকের আলমগীর মালদা কারিগরি কলেজের ছাত্র ছিলেন। ২০১৭ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন তিনি। কলকাতার একটি বেসরকারি কলেজ থেকে বি.টেক পাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে ইংরেজবাজারে রেল কলোনির বাসিন্দা রাহুল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন। আলমগীর বলেন, ''চাকরি যা পাচ্ছি তা বেসরকারি। বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে। রাজকোটের মত জায়গায় ১২ হাজার টাকার চাকরি পেয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কী খাব? কোথায় থাকব? বাড়িতেই বা কী পাঠাব? আমরা ২ জনে বেসরকারি একটা কোম্পানিতে চাকরি করতে গিয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিই, যে নিজেদের কিছু একটা করতে হবে।''
ছোট থেকেই অর্থকষ্ট দেখেছেন ২ জনই। আলমগীরের বাবা ঢালাই মেশিন ভাড়া দেওয়ার কাজ করে পাঁচ ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার চালান। রাহুলের বাবা মনসুর পেশায় ট্যাক্সি চালক। চাকরি জুটুক বা না জুটুক স্বপ্নের চায়ের দোকান থেকেই একদিন শ্রীবৃদ্ধি হবে, একদিন আর্থকষ্ট ঘুচবে, এই আশায় ২ বন্ধু। রাহুল বলেন, ''পারিবারিক পরিস্থিতির চাপে আমি ডিপ্লোমার পর আর পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারিনি। এমবিএ চাওয়ালাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম। উনি আজ ছোট দোকান থেকে অনেক বড় জায়গায় পৌঁছেছ। বেশ ভাল সাড়া পেয়েছি প্রথম ২ দিন।''
শোভন-রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষ্যদান বৈশাখীর
শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষ্যদান করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন, শোভনের চরিত্র হননের চেষ্টা করেছিলেন রত্না। এই ইস্যুতে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।