Malda News: বিস্ময়কর তথ্য, আবাস তালিকায় ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কারো নাম নেই ! রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ?
Awas Yojana List: গ্রাম বাংলার হতদরিদ্র মানুষকে পাকা ঘর দেওয়ার জন্য চালু হয় আবাস যোজনা প্রকল্প। সেই প্রকল্প নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
করুণাময় সিংহ, মালদা : রাজ্য সরকারের আবাস যোজনার তালিকায় যোগ্যদের বদলে ঠাঁই হয়েছে পাকা বাড়ির মালিকদের। অথচ যাঁদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তালিকা থেকে, এমন ভূরিভূরি অভিযোগ ঘিরে সাম্প্রতিককালে শোরগোল পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। এই আবহে এবার নয়া অভিযোগ। একজন-দু'জন নয়, পুরো তিনটে গ্রাম পঞ্চায়েতের কারো নাম নেই আবাস যোজনার তালিকায়। ২০১৭-'১৮ সালে তৈরি হওয়া তালিকায় নাম নেই পুরাতন মালদার সাহাপুর, মুচিয়া ও মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন বাসিন্দারও। পঞ্চায়েত থেকে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরও একজন উপভোক্তারও নাম সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত হয়নি। ফলে আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত ওই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু গরিব খেটে খাওয়া মানুষ।
এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন তৎকালীন প্রধানরা। যদিও সমস্ত দোষ তৎকালীন বিডিওর ঘাড়ে চাপিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী ও পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভানেত্রী। তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের একজনের নামও যে সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত হয়নি তা স্বীকার করে নিয়েছেন পুরাতন মালদার বিডিও।
গ্রাম বাংলার হতদরিদ্র মানুষকে পাকা ঘর দেওয়ার জন্য চালু হয় আবাস যোজনা প্রকল্প। সেই প্রকল্প নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অর্থের বিনিময়ে বিত্তশালী মানুষদের সরকারি প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়া। কাটমানি না পাওয়ায় আবাস যোজনা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেওয়া-সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত স্তরে। কিন্তু, এবার প্রকাশ্যে এল বিস্ময়কর তথ্য। পুরাতন মালদা ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের একজনও বাসিন্দার নাম নেই আবাস যোজনার তালিকায়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত দফতর থেকে বিডিও অফিস বারংবার আবেদন জানালেও তালিকায় তাঁদের নামই নেই।
আবাস যোজনার যোগ্য ব্যক্তিরা যাতে ঘর পান, তার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জেলায় জেলায় সমীক্ষা চললেও, একাধিক জেলা থেকে উঠে আসছে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ। ঘর পেতে হলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যাকে কাটমানি দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সোনাকুল গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। এমনকী অভিযোগ ওঠে, প্রকৃত উপভোক্তাদের বদলে আবাস তালিকায় নাম রয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যার রেশন ডিলার দেওর ও অন্য আত্মীয়দের। এবিপি আনন্দে এই খবর সম্প্রচারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। হরিশ্চন্দ্রপুর -এর বিডিওর নির্দেশে সোমবার দিনভর গ্রামে গ্রামে চলল সচেতনতা প্রচার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে