Malda Murder Case Update: পণে মোটরবাইক চেয়েও মেলেনি, গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
রুবি বিবি নামে ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের।
করুণাময় সিংহ, মালদা: পণ (Dowry) হিসেবে মোটরবাইক চেয়েও না পেয়ে গৃহবধূকে খুনের (Housewife Murder) অভিযোগ। মালদার (Mulda) ইংরেজবাজারে কেষ্টপুর গ্রামের (Kestapur Village) ঘটনা। রুবি বিবি নামে ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। ইংরেজবাজার থানায় (Engrej bazar) লিখিত অভিযোগ দায়ের।
উল্লেখ্য, আজই আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। পণের দাবিতে স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের পাশাপাশি, ফতোয়া জারির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক। স্বামীর বিরুদ্ধে লালবাজারের দ্বারস্থ হয়েছেন বধূ। দাবি তুলেছেন আইনি পদক্ষেপের। বিয়ের পরই পণের জন্য চাপ, নির্যাতন। ২৩ রকম ফতোয়া জারি।
স্বামীর বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলে লালবাজারের (Lalbazar) দ্বারস্থ এক বধূ। কাঠগড়ায় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) মিসিং পার্সন স্কোয়াডের এক আধিকারিক। ওয়াটগঞ্জের (Watganj) বাসিন্দা ওই বধূর দাবি, আট মাস আগে তাঁর বিয়ে হয় মহম্মদ ফয়জল ফিরোজের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শুরু হয় অত্যাচার। ঠিকমতে খেতে পর্যন্ত দেওয়া হত না।
অভিযোগকারিণী সারা শামিন জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য চাপ। শ্বশুর মারা যাওয়ার পর থেকে শরীরিক অত্যাচার (Physical Abused) গাড়ির, শোফা শেটের জন্য। খেতে দেওয়া হত না ঠিক করে। বধূর গুরুতর অভিযোগ, বিয়ের পর ২৩ রকমের শর্ত চাপিয়ে দেন স্বামী। ঘর থেকে বের হওয়া, পছন্দের জামাকাপড় পরা, স্মার্ট ফোন ব্যবহার, পড়াশোনা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তি তোলা হয়।
অভিযোগকারিণী জানায়, ২৩ রকমের ফতোয়া দেয় আমায়। পড়াশানা করতে পারব না। সোশ্যাল সাইট ব্যবহার করতে পারব না। বোরখা পরতে হবে। স্বামীর করোনার সময় আমায় মাস্ক পরতে দেয়নি। আমি ওয়াটগঞ্জ থানা জিডি করি। সিপি ক্রাইমকে চিঠি দিই। উনি বিষয়টি দেখতে বলেন। আমি স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই, শাশুড়ি ও ননদদের সঙ্গে নয়।
তবে, সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্বামী। তাঁর পাল্টা দাবি, শাশুড়ির সঙ্গে না-থাকার জন্যই মিথ্যে দোষারোপ করছেন স্ত্রী। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ ফয়জল ফিরোজের কথায়, ভিত্তিহীন অভিযোগ। স্ত্রী নিজে থেকেই তার সঙ্গে থাকছেন না। ফতোয়ায় সই নেই আমার। মাকে ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকি তাই চাপ সৃষ্টি।
বধূর দাবি, এর আগে ওয়াটগঞ্জ থানাতেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এবার দ্বারস্থ হয়েছেন লালবাজারের। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।