Mamata Banerjee: 'ভোটের আগে হঠাৎ কেন এত আধার কার্ড বাতিল ?..', বড় বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
Mamata On Aadhaar Card: লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের জেলায় জেলায় আধার কার্ড বাতিল, মুখ খুললেন এবার মমতা..
কলকাতা: লোকসভা ভোটের মুখে জেলায় জেলায় আধার কার্ড বাতিল। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় একাধিক ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিল হয়েছে। আধার কার্ড বাতিলের জেরে ফর্ম ফিল আপ করতে পারলেন না কাঁকসার কলেজ ছাত্রী। আর এবার এই ইস্যুতে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee On Aadhaar Card Cancelation) । বললেন, 'ভোটের আগে হঠাৎ কেন এত আধার কার্ড বাতিল? কী পরিকল্পনা কেন্দ্রর?'
'ভোটের আগে হঠাৎ কেন এত আধার কার্ড বাতিল ? জবাব দিক কেন্দ্র'
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'সব থেকে বেশি মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে। সব জেলায় আধার কার্ড বাতিল করে দিচ্ছে। ইচ্ছে মতো আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় এনআরসি করতে দেব না, এখানে ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। বাংলায় রোজ কেন্দ্র থেকে কমিটি আসে, চোপড়ায় কোনও কমিটি গেছে? রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যাঁদের নাম কেটে দিয়েছে, তাঁদের আমরা আলাদা কার্ড দেব। আধার কার্ড বাতিল করে দিলে, রাজ্যের পোর্টালে অভিযোগ জানান। কেন এত আধার কার্ড বাতিল? জবাব দিক কেন্দ্র।'
'আধার বাতিলের নেপথ্যে এনআরসি'
তিনি আরও বলেন,'আধার বাতিলের নেপথ্যে এনআরসি। মানুষকে বঞ্চিত হতে দেব না, যা যা করার আমরা করব। আধার কার্ড নিয়ে ছেলেখেলা করছেন, মানুষকে বঞ্চিত করার চেষ্টা। মানুষকে বঞ্চিত করলে, আপনাদের আঁধারে ফেলে দেবে। বিজেপি জঞ্জাল পার্টিতে পরিণত হয়েছে। আধারের বিকল্প কার্ড দেবে রাজ্য সরকার, সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা মিলবে। এই গা-জোয়ারি আমরা মানি না, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেব।'
আরও পড়ুন, রাজ্যের মুখ্যসচিব-সহ ৫ আমলার হাজিরা নিয়ে লোকসভার সচিবালয়ের নোটিসে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
'এটা অসম, উত্তরপ্রদেশ, বিহার নয়, এটা বাংলা'
এরপর ফের চেনা সুরে বলেন, 'এটা অসম, উত্তরপ্রদেশ, বিহার নয়, এটা বাংলা। এখানে এনআরসি, ডিটেনশন কার্ড করতে দেব না। আধার কার্ড বাতিল হলে কেন বিজেপির পার্টি অফিসে জানাতে হবে?সরকারকে জানাবে না তো আর কাকে জানাবে? প্রয়োজনে আধার কার্ড বাতিল নিয়ে আইনি সহায়তা নেব। ভয়ের কোনও কারণ নেই, বাংলার মানুষের অধিকার আমি রক্ষা করব। সোজা আঙুলে কাজ না হলে, মানুষের স্বার্থে আমরা আঙুল বাঁকা করতেও রাজি। এভাবে গুন্ডামি করে ভোটে জেতা যায় না। সন্দেশখালিতে প্রশাসন প্রশাসনের মতো কাজ করছে। মানুষের অভিযোগ শুনতে ক্যাম্প খোলা হয়েছে।'